অ্যাসাইনমেন্ট: “লেনদেনের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী লেনদেন.চিহ্নিতকরণ ও হিসাব সমীকরণে এর প্রভাবনিরূপণ”
সহায়ক তথ্যঃ
একটি একমালিকানা ব্যবসায়ের ২০২০ সালের মে মাসের কয়েকটি ঘটনা
মে ১ঃ ১,৯৫,০০০ টাকা মূলধন নিয়ে ব্যবসায় শুরু করা হলো।
মে ৩ঃনগদে পণ্য ক্রয় ৬০,০০০ টাকা। ব্যবসায়িক
মে ৪ঃ চেকে পণ্য বিক্রয় ৪৫,০০০ লেনদেনের টাকা।
মে ১০ঃ ব্যাংকে একটি হিসাব খােলা হলাে ৫,০০০
টাকা।
মে ১৩ঃব্যাংক থেকে ৫০,০০০ টাকা ঋণ গ্রহণের
সিদ্ধান্ত নেয়া হলাে।
মে ১৬ঃবিমা প্রিমিয়াম প্রদান করা হলাে ৩,০০০
টাকা।
মে ২০ঃ অফিসে ব্যবহারের জন্য ১টি কম্পিউটার
ক্রয় করা হলাে ৩৫,০০০টাকা।
মে ২২ঃ১২,০০০ টাকা মাসিক বেতনে একজন অফিস সহকারী নিয়ােগ করা হলাে।
মে ২৫ঃহারুন ট্রেডার্সকে ঢেকে পরিশােধ করা
হলাে।
মে ২৮ঃ মালিক কর্তৃক ব্যাংক থেকে উত্তোলন ৫,০০০ টাকা।
মে ৩০ঃঅফিসের জন্য ব্যাংক থেকে উত্তোলন
১০,০০০ টাকা।
শিখনফলঃ
লেনদেনের ধারণা ব্যাখ্যা করতে পারব।
লেনদেনের প্রকৃতি শনাক্ত করতে পারব।
হিসাব সমীকরণ বিশ্লেষণ করতে পারব।
হিসাব সমীকরণে ব্যবসায়িক লেনদেনের প্রভাব
ব্যাখ্যা করতে পারব।
নির্দেশনাঃ
লেনদেনের ধারণা।
লেনদেনের প্রকৃতি/বৈশিষ্ট্য
লেনদেন চিহ্নিতকরণ
হিসাব সমীকরণ
হিসাব সমীকরণে লেনদেনের প্রভাব বিশ্লেষণ
এসএসসি ৬ষ্ঠ সপ্তাহের হিসাব বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর পরিক্ষা ২০২২
ক) নং প্রশ্নের উত্তরঃ
লেনদেনের ধারণাঃ লেনদেন শব্দটির আভিধানিক অর্থ হল গ্রহণ ও প্রদান অর্থাৎ দেওয়া নেওয়া। হিসাব বিজ্ঞানের ভাষায় যেসব ঘটনার ফলে ব্যবসাযের আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটে সেসব ঘটনাকে লেনদেন বলে। লেনদেনের ফলে হিসাব সমীকরণের এক বা একাধিক উপাদান এর পরিবর্তন ঘটবে। যেমন, ১০০০০ টাকার পণ্য ক্রয় করা হলে, এর ফলে নগদ অর্থ কমে যায় এবং ক্রয় খরচের কারণে মালিকানা স্বত্ব কমে যায়, ফলে এটি একটি লেনদেন। অন্যদিকে, ৫০০০ টাকা পণ্য বিক্রয় ফরমাযেশ পাওয়া গেলে ব্যবসায় এর আর্থিক অবস্থার কোন পরিবর্তন হয়নি বলে এটি লেনদেন নয়।
খ) নং প্রশ্নের উত্তর
লেনদেনের প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্যঃ লেনদেনের ধারণাটিকে বিশ্লেষণ করলে নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্যগুলাে লক্ষ্য করা যায়। যথা,
ক) অর্থের অংকে পরিমাপ যােগ্যঃ প্রতে্যকটি
লেনদেন অবশ্যই অর্থের অংকে পরিমাপযােগ্য হবে।
খ) আর্থিক অবস্থার পরিবর্তনঃ প্রত্যেকটি লেনদেনের ফলে ব্যবসায় এর আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে।
গ) দ্বৈত সত্তাঃ প্রত্যেকটি লেনদেনেই দুইটি পক্ষ থাকতে হবে। একটি সুবিধা প্রদানকারী বা ক্রেডিট পক্ষ এবং অন্যটি সুবিধা গ্রহনকারী বা ডেবিট পক্ষ।
ঘ) স্বয়ংসম্পূর্ণ ও স্বতন্ত্রঃ প্রত্যেকটি লেনদেন হবে
স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং স্বতন্ত্র অর্থাৎ একটি অন্যটি থেকে আলাদা করা যাবে।
ঙ) দৃশ্যমানতাঃ লেনদেন দৃশ্যমান বা অদৃশ্যমান হতে পারে।
চ) ঐতিহাসিক ঘটনাঃ যে সকল আর্থিক ঘটনা ঘটে গেছে, সে গুলােকে ঐতিহাসিক ঘটনা বলা হয়। ঐতিহাসিক ঘটনার লেনদেনকে ঐতিহাসিক লেনদেন বলা হয়।
ছ) হিসাব সমীকরণের প্রভাব বিস্তারঃ প্রত্যেকটি
লেনদেন অবশ্যই হিসাব সমীকরণের এক বা একাধিক প্রতিপক্ষকে প্রভাবিত করবে।
ঘ) নং প্রশ্নের উত্তর
হিসাব সমীকরণ ব্যাখ্যাঃ প্রতিটি লেনদেন ব্যবসায়ের আর্থিক অবস্থার উপর প্রভাব ফেলে। দুতরফা দাখিলা পদ্ধতি অনুসারে এ প্রভাব দুটি পক্ষের উপর (ডেবিট ক্রেডিট) সমভাবে পরিলক্ষিত হয়। লেনদেনের এই প্রভাব আর্থিক
অবস্থার উপর নির্দিষ্টভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয় হিসাব সমীকরণ। এক কথায়, হিসাব সমীকরণের দ্বারা একটি লেনদেনের প্রভাব সঠিকভাবে সম্পূর্ণ হিসাব ব্যবস্থার মধ্যে চিহ্নিত করা যায়। হিসাব সমীকরণঃ
A = L+ E
A = L+ (C + R - Ex - D)
এখানে, A = Assets (সম্পত্তি)
L= Liabilities (দায়)
E= Equity (মালিকানা স্বত্ত্)
C = Capital (মূলধন)
R= Revenue (আয় বা রাজস্ব)
Ex = Expenses (খরচ বা ব্যয়)
D= Drawings (উত্তোলন)
সম্পত্তিঃ সম্পত্তি হলাে প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন
এবং কোন বস্তু যা প্রতিষ্ঠানকে ভবিষ্যত সুবিধা প্রদান করবে। সম্পত্তি সাধারণত মূলধনজাতীয় ব্যয় থেকে সৃষ্টি হয় এবং ভবিষ্যত সুবিধা প্রদান করে। যেমন- আসবাবপত্র, দালানকোঠা, বকেয়া আয়, অগ্রিম ব্যয়, সুনাম, প্যাটেন্ট, ট্রেডমার্ক, নগদ জমা, ব্যাংকে জমা ইত্যাদি।
দায়ঃ সম্পত্তির বিপরীতে মালিক ব্যতীত তৃতীয় পক্ষের।দাবীকে দায় বলে। যেমন- বিবিধ পাওনাদার, প্রদেয় বিল, বকেয়া ব্যয়, অনুপার্জিত আয়, ঋণপত্র, বন্ধকী ঋণ, ইত্যাদি।
মালিকানা স্বত্ত্বঃ সম্পত্তির বিপরীতে মালিকের দাবীকে মালিকানা স্বত্ত্ব বা মূলধন বলে। যেমন- শেয়ার মূলধন, শেয়ার অধিহার, জমাকৃত মুনাফা, সাধারণ সঞ্চিতি, বিশেষ সঞ্চিতি, ইত্যাদি।
Leave a Comment