পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায়। ঘরোয়া উপায়ে অশ্ব বা পাইলস ভালো করার উপায়| Ways to make horses or piles better in a homely way


প্রিয় বন্ধুগণ Advancedtips24 এর পক্ষ থেকে সবাইকে জানাই আসসালামু আলাইকুম।
আশা করি আল্লাহুর অশেষ রহমতে আপনারা ভালো আছেন।

আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে নিয়ে আসলাম  পাইলস রোগের লক্ষণ, পাইলস রোগ হলে করণীয়, পাইলস অপারেশনে কত টাকা লাগে, এবং পাইলস রোগের চিকিৎসা

আশা করি আপনাদের অনেক উপকার হবে আমাদের দেওয়া সঠিক তথ্যটি থেকে ।
পাইলস রোগের লক্ষণ
পাইলস বা হেমোরয়েড (বাংলায় অর্শ্ব বা গেজ)- এর নামকরন নিয়ে নানা ধরনের জটিলতা রয়েছে। তবে নাম যাই হোক না কেন, পাইলস হচ্ছে মলদ্বারের ভেতরের আবরনী, তার রক্ত নালী ও অন্যান্য মাংশ পেশীর সমন্বয়ে গঠিত একটি কুশন বা গদির ন্যায় তুলতুলে নরম অংশ। এটি মলদ্বারের ভেতরেই থাকে। কিন্তু যখন রোগ হিসাবে প্রকাশ পায় তখন ঝুলে বাইরে বের হয়ে আসতে পারে।
পাইলস/গেজ রোগ কেন হয়?
বহুবিধ কারনে পাইলস এর লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে।
  1. দীর্ঘ সময় টয়লেট এ বসে থাকা এবং চাপ প্রয়োগ করে টয়লেট করা, বিশেষ করেনদীর্ঘমেয়াদী কোষ্টকাঠিন্য।
  2. প্যান এ টয়লেট করা।
  3. বংশানুক্রমিক ভাবেও এ রোগ ছড়ায়।
  4. ঘন ঘন পতলা পায়খানা হওয়া।
  5. রক্ত নালীর মধ্যে কপাটিকা (ভাল্ব) না থাকা।
  6. গর্ভকালীন অবস্থা।
পাইলস রোগের লক্ষণ সমূহ:
  1. টয়লেটে তাজা রক্ত যাওয়া।
  2. মলত্যাগের সময় নরম আবরনী ঝুলে বাইরে চলে আসা।
  3. ব্যাথা- সাধারণত বাইরে এসে আটকে গেলে অথবা ভেতরে রক্তক্ষরণ হলে।
  4. চুলকানি হওয়া।
  5. আম (মিউকাস) জাতীয় নিঃসরন।
পাইলস রোগের করণীয় করনীয়ঃ
পাইলস এর হাতুরে চিকিৎসার ফলে মলদ্বারের স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে, এমনকি মলদ্বার বন্ধও হয়ে যেতে পারে। তাই পাইলস এর লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার সাথে সাথে এর চিকিৎসা নেওয়া উচিৎ। 

শুরুতেই চিকিৎসা নিলে জটিলতা কম হয় এবং
ভাল হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এজন্য প্রথমেই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কর্তৃক রোগ নির্নয় করানো উচিৎ। সঠিক রোগ নির্নয় সঠিক চিকিৎসার পূর্বশর্ত।

পাইলস রোগের চিকিৎসা চিকিৎসাঃ
পাইলস এর পর্যায় এর উপর এর চিকিৎসা নির্ভর করে।
১ম পর্যায়ঃ সাধারণত ঔষধ অথবা থাদ্যাভাস পরিবর্তনের মাধ্যমেই ভালো খাকা যায়।
২য় পর্যায়ঃ রিং লাইগেশন, ইনজেকশন, সার্জারী।
৩য় ও ৪র্থ পর্যায়ঃ সার্জারী।

পাইলস সার্জারীঃ
খুবই ভাল সার্জারী সম্ভব। কোন ধরনের দৃশ্যমান কাটাছেড়া ছাড়াই মেশিনের মাধ্যমে পাইলস সার্জারী সম্ভব। একে “লংগো” ( LONGO) অপারেশন বলাহয়। এর রেজাল্ট ও ভালো।
আগে পাইলস সার্জারীর পর দেড় থেকে দুই মাস লাগতো ঘা শুকাতে, এখন এসবের কোন ঝামেলাই নাই। অপারেশনের পর রোগী দ্রুত সেরে উঠে এবং কাজে যোগ দিতে পারেন। সার্জারির পর ক্ষতস্থান পরিষ্কার রাখতে হবে। যেসব খাবার পায়খানা শক্ত করে তা বর্জন করতে হবে।
পাইলস অপারেশনে কত খরচ হয় 
বাংলাদেশে পাইলস অপারেশন করতে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে।

পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায়। ঘরোয়া উপায়ে অশ্ব বা পাইলস ভালো করার উপায়।


ঘরোয়া উপায়ে অশ্ব বা পাইলস ভালো করার উপায
এখন পাইলসের জন্য নানা ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থা বের হয়েছে। পাইলসের সমস্যা কতটা
উপরে ডিপেন্ড করে চিকিৎসা দেওয়া কখনো শুধু ওষুধে কাজ হয় আবার কখনো কখনো পাইলস
বা অর্শ  সমস্যা এতটাই বেড়ে যায় যে অপারেশন করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকেনা।

সমস্যার জন্য কিছু কিছু নির্দিষ্ট টোটকা আছে যেটা খুবই উপকারী সেগুলো হলো:

মুলার জুস


মুলা এমন একটি শব্দ যেটা সবস থাকে। আর এই সবজি পাইলস বা অর্শ অত্যন্ত উপকারী। আপনি যদি এ তাহলে আপনি অশ্ব বা পাইলস এর ক্ষেত্রে অনেকটা উপকার পাবেন। প্রথমদিকে মুলার রস খেতে আপনা অনেক কষ্ট হবে তাই প্রথমদিকে এ
ভাগের এক ভাগ দিয়ে শুরু করবে আস্তে আস্তে বাড়িয়ে হাফ কাপ আসতে পারবেন। আপনি যদি নিয়মিত মুলার জুস তাহলে আপনি পাইলস বা অর্শ সমাধান পেতে পারেন।

লেবু ও আদার রস | পাইলস থেকে
চিরতরে মুক্তির উপায়

পাইলস এর অন্যতম প্রধান কারণ হলো ডিহাইড্র
আপনি যদি আদা ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়
মধ্যে এক চামচ মধু দিয়ে দিনে দুব পান করেন তাহলে আপনার পাইলস এর ক্ষেত্রে অনেক
উপকার হবে। কারণ এই শরবত শরীরকে হাইড্রেট করতে সাহায্য করে এবং সেই সাথে
সমস্যার সমাধান করে । ঘরোয়া উপ
পাইলস সারানোর উপায়।
মলত্যাগের সময় বসার ধরন | পাইলস
থেকে চিরতরে মুক্তির উপায়
অনেকে ভুল পদ্ধতিতে মলত্যাগ করে থাকেন। অন সময় ভুল পদ্ধতিতে কমোডে বসার ফলে
তাপের প্রয়োজন হয়। তাই যখন আপনি যখন কম মলত্যাগ করবেন তখন পায়ের নিচে একট
রাখুন। আপনি  যখন  কমোডে  মলত্যাগ করবেন তখন একটু সামনের দিকে ঝুঁকে বসুন। এতে
বৃহদন্ত্রে কম চাপ পড়বে আর আপনি পাইলস না হওয়ার সমস্যা থেকে দূরে থাকবেন।

কাঁচা পেঁয়াজ।পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায়
কাঁচা পেঁয়াজ আপনি যদি খান তাহল কারনে আপনার মলদ্বার থেকে যে সেটা অনেকটাই কমে যাবে। কাঁচা পেঁয়াজ শুধু পড়া কমাবে না কাঁচা পেঁয়াজ অন্ত্ক মাতে অনেকটা সাহায্য করবে।

বেদানা।পাইলস থেকে চিরতরে
মুক্তির উপায়
বেদানা ও আপনার পাইলসের সমস্যার সমাধান দেবে। প্রথমে বেদানার দানা গুলো ভালো করে
সেটা পানিতে ভালো করে ফোটাতে হবে যতক্ষণ না পানির রং বদলে। যতক্ষণ না পানির বেদনার কালারের মত হয় ততক্ষণ পর্যন্ত পানি ফুটিয়ে যেতে হবে। তারপরে পানিক করে ছেঁকে নিতে হবে । তাহলেই আপনি আপনার পাইলসের সমস্য
অনেকটাই মুক্তি পাবেন।

ডুমুর । পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির
উপায়
পাইলসের সমস্যা সমাধানে অনেকটাই কাজে
ডুমুর। এজন্য আপনাকে কি করতে নিয়ে এক গ্লাস পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রাখতে হবে।  পরের দিন সকালে উঠে এই ডুমুর ভেজানো পানি
অর্ধেক খেয়ে নিতে হবে আর বাকি অর্ধে
হবে বিকেলে। কিছুদিন খাওয়ার পরে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন যে আপনি কতটা উপকার

হলুদ। পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির
উপায়
হলুদ পাইলস বা অর্শ সমস্যা কাজে লাগে। এজন্য আপনাকে কি করতে হবে কাঁচ হলুদ পানিতে দিয়ে ভালো করে পানিকে ফোটা হবে। আরে ফোটানো পানি আপনাকে নিয়মিত করতে হবে। আপনি যদি এই ফ নিয়মিত পান করেন তাহলে পাইলসের সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্তি পাবেন।

কলা । পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায়
কলা কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা সমাধানে উপকারী এবং ভালো একটা ও মলত্যাগ করতে সাহায্য করে কল মলত্যাগ করার সময় মলদ্বারে কোন রকমের কোন চাপ পড়ে না। যার কারণে পাইল
যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। আ সয়াবিনের দুধ দিয়ে খান তাহলে আরো তাড়াতাড় উপকার পাবেন।

ওয়ার্কআউট | পাইলস ভালো করার উপায়
এমন কিছু ওয়ার্কআউট রয়েছে নিয়মিত করলে আপনার পাইলসের সমস্যা অনেকটাই মুক্তি পেতে পারেন। শরীরের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে চাইলে আপনাকে নিয়মিত ওয়ার্কআউট করতে হবে। তবে একটা জিনিস মাথায় ওয়ার্ক আউট করার সময় খুব বেশি পরিশ্রম বা ভারি জিনিস তোলা যাবে না কারণ এ সমস্যা বাড়াতে পারে। সাইকেল চালানো, সাঁত কাটার মত হালকা যে ওয়ার্কআউট
সেগুলো করতে পারেন।


ডাল ।পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির
উপায়
পাইলসের সমস্যা সমাধানের জন্য খুবই উপকারী ডাল। পাইলসের সমস্যার সমাধান যে ডালগুলো করে সেগুলো হলো তিসী ডাল, খেসারি ডাল, মসুর ডাল এ ধরনের সমস্যা সমাধানে খুবই সাহায্য করে।

আমাদের শেষ কথা
শেষে আমি এটাই বলতে চাই যে আপনারা ঘরে বসেই পাইলস বা অর্শ সমস্যা সমাধান করতে পারেন। যদি নিয়ম মেনে চলেন তাহলে আপনারা পাই অর্শ সমস্যার থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
আপনারা আমার এই পোস্টটি পড়ে জানতে প
যে কি করে ঘরোয়া নিয়ন্ত্রণে রাখা বা কমানো সম্ভব রাখা।

Leave a Comment