অ্যাসাইনমেন্ট শিরোনাম 

১. লাভ- লোকসান হিসাব ও লাভ- লোকসান বিবরণীর মধ্যে পার্থক্য দেখাও।

২.  মিঃ মশিউর একজন খুচরা ব্যবসায়ী। তিনি তার কারবারের হিসাব বই দ’তরফা দাখিলা পদ্ধতিতে 
সংরক্ষণ করেন না। তার কারবারের হিসাব বই হতে নিম্নোক্ত খতিয়ান উদ্বৃত্তগুলো নেয়া হলো। 

এইচএসসি বিএম ১১শ শ্রেনীর হিসাববিজ্ঞান নীতি ও প্রয়োগ ১ম পত্র ৯ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট উত্তর | HSC BM 11th Class Accounting Policy and Application 1st Paper 9th Week Assignment Answer

অণ্যান্য তথ্যাবলিঃ

ক) দোকানের ক্যাশ বাক্স হতে ৩,০০০ টাকা চুরি হয়েছে; কিন্ত এটি হিসাব ভুক্ত করা হয়নি। 

খ) প্রাপ্য হিসাবের ৮,০০০ টাকা আদায়যোগ্য নয় অবশিষ্ট প্রাপ্য হিসাবের উপর ৫% হারে অনাদায়ী 

দেনা সঞ্চিতি সৃষ্টি করা হবে। 
 
গ) আসবাবপত্র ও মেশিনের উপর ১০% হারে অবচয় ধার্য করতে হবে। নতুন মেশিন ১-৭-২০১৪ 

তারিখে ক্রয় করা হলো। 

ঘ) দালান- কোঠার অবচয় ৫% ধরতে হবে। 

ঙ) প্রারম্ভিক মূলধনের উপর ৫% হারে সুদ ধার্য করতে হবে। 

চ) উত্তোলনের উপর ৫% সুদ ধরতে হবে। 

ছ) প্রদেয় হিসাবের উপর ২% বাট্টা সঞ্চিতি রাখতে হবে। 

করণীয়ঃ

ক)  ২০২০  সালের  ৩১  ডিসেম্বর  তারিখের  প্রারম্ভি ক  মূলধন  ও  সমাপনী  মূলধন  এবং  লাভ  লোকসান  বিবরণী তৈরি কর। 

নির্দেশনা (সংকেত/ ধাপ/ পরিধি): 

লাভ- লোকসান বিবরণী
প্রারম্ভিক মূলধন ও সমাপনী মূলধন ছক তৈরি
প্রারম্ভিক মূলধন ও সমাপনী মূলধন নির্ণয় 
 লাভ- লোকসান নির্ণয়

এইচএসসি বিএম ১১শ শ্রেনীর হিসাববিজ্ঞান নীতি ও প্রয়োগ ১ম পত্র ৯ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট উত্তর | HSC BM 11th Class Accounting Policy and Application 1st Paper 9th Week Assignment Answer

লাভ- লোকসান হিসাব ও লাভ- লোকসান বিবরণীর মধ্যে পার্থক্য

লাভ-লোকসান বণ্টন হিসাব : যে হিসাবের মাধ্যমে অংশীদারগণ ব্যবসায়ের নীট মুনাফা হতে বণ্টনযোগ্য মুনাফা বা ক্ষতি চুক্তি অনুযায়ী বণ্টন করে নেয়, তাকে লাভ-লোকসান বণ্টন হিসাব বলে। ব্যবসায়ের লাভ-লোকসান হিসাব প্রস্তুত করার পর লাভ-লোকসান বণ্টন হিসাব প্রস্তুত করা হয়

ব্যবসায়ের ক্রয়-বিক্রয়ের পার্থক্য হল মোট লাভ বা ক্ষতি। এটিকে নিশ্চয় ব্যবসায়ের প্রকৃত লাভ বা ক্ষতি বলা যাবে না। কারণ ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য অবশ্যই আরো অনেক খরচ করতে হয়। এই খরচগুলো মূলত: প্রশাসনিক এবং বিক্রয় সংক্রান্ত খরচের আওতাভুক্ত। যেমন-অফিসের টেলিফোন খরচ প্রশাসনিক খরচের এবং বিজ্ঞাপন খরচ বিক্রয় সংক্রান্ত খরচের অন্তর্ভুক্ত।

ব্যবসায়ের প্রকৃত লাভ লোকসান জানার জন্য অবশ্যই এই খরচগুলোকে বিবেচনায় আনতে হয়। এটি মূলত: লাভ-লোকসান হিসাবের মাধ্যমে করা হয়। ক্রয়-বিক্রয় হিসাবের জের নিয়ে লাভ-লোকসান হিসাব শুরু হয়। ক্রয়-বিক্রয় হিসাবের জের লাভ বা ক্ষতি উভয়ই হতে পারে। তাই বলে এই লাভ বা ক্ষতিকে নীট লাভ বা ক্ষতি বলা যাবে না।

নীট লাভ বা ক্ষতির পরিমাণ জানার জন্য আপনাকে অবশ্যই লাভ-লোকসান হিসাব প্রস্তুত করা হবে। মোট লাভ থেকে পণ্য বিক্রয় সংক্রান্ত সকল খরচ এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ বাদ দিলে নীট লাভ পাওয়া যায়। যদি বিক্রয় সংক্রান্ত খরচ এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ মোট লাভের চেয়ে বেশি হয় তবে নীট ক্ষতি হবে। ব্যবসায়ের নীট লাভ বা ক্ষতি নিরূপণের জন্য যে হিসাব তৈরি করা হয় তাকে লাভ-লোকসান হিসাব বলা হয়। নিচে লাভ লোকসান হিসাবের নমুনা লক্ষ্য করুন।

লাভ-লোকসান হিসাবের ডেবিট পাশের্ পরোক্ষ বা মুনাফা জাতীয় খরচগুলো দেখানো হয়। তবে শুধুমাত্র অবচয় যা একটি মূলধন জাতীয় খরচ লাভ-লোকসান হিসাবের ডেবিট পাশে দেখানো হয়। মূনাফা জাতীয় সকল আয় এই হিসাবের ক্রেডিট পাশের্Ÿ দেখানো হয়। এই নিয়ম অনুসরণ করেই নিম্নের নমুনা বা ছকটি প্রণয়ন করা হয়েছে।

এইচএসসি বিএম ১১শ শ্রেনীর হিসাববিজ্ঞান নীতি ও প্রয়োগ ১ম পত্র ৯ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট উত্তর | HSC BM 11th Class Accounting Policy and Application 1st Paper 9th Week Assignment Answer

এইচএসসি বিএম ১১শ শ্রেনীর হিসাববিজ্ঞান নীতি ও প্রয়োগ ১ম পত্র ৯ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট উত্তর | HSC BM 11th Class Accounting Policy and Application 1st Paper 9th Week Assignment Answer






এইচএসসি বিএম ১১শ শ্রেনীর হিসাববিজ্ঞান নীতি ও প্রয়োগ ১ম পত্র ৯ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট উত্তর | HSC BM 11th Class Accounting Policy and Application 1st Paper 9th Week Assignment Answer





Leave a Comment