এইচএসসি বিএম ১১শ শ্রেনীর ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম পত্র ৯ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট উত্তর | HSC BM 11th Class Business Organization and Management 1st Paper 9th Week Assignment Answer

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ সমবায় সমিতির মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠী, তাঁদের ভাগ্য উন্নয়ন করতে পারে বক্তব্যটির পক্ষে তোমার যৌক্তিকতা নিরূপন কর।

শিখনফল/বিষয়বস্তু :

সমবায় সমিতির ধারণা 
দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ধারণা
সমবায় সমিতির সুবিধাস মূহ
সমবায় সমিতির পক্ষে মতামত

নির্দেশনা (সংকেত/ ধাপ/ পরিধি): 

সমবায় সমিতির ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে
দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে
সমবায় সমিতির সুবিধাসমূহ বর্ণনা করতে হবে
দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ভাগ্য উন্নয়নে সমবায় সমিতির পক্ষে মতামত দিতে হবে

এইচএসসি বিএম ১১শ শ্রেনীর ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম পত্র ৯ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট উত্তর | HSC BM 11th Class Business Organization and Management 1st Paper 9th Week Assignment Answer


এইচএসসি বিএম ১১শ শ্রেনীর ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম পত্র ৯ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট উত্তর | HSC BM 11th Class Business Organization and Management 1st Paper 9th Week Assignment Answer

সমবায় সমিতির ধারণা ব্যাখ্যা

সমবায় সমিতির অর্থ সম্মিলিত প্রচেষ্টা । নিজেদের অর্থনৈতিক কল্যাণ অর্জনের সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে সহজ অর্থে সমবায় বলে । প্রকৃত অর্থে একই শ্রেণির কতিপয় ব্যক্তি নিজেদের আর্থিক কল্যাণ সাধনের লক্ষ্যে স্বেচ্ছায় সংঘবদ্ধ হয়ে সম অধিকারের ভিত্তিতে সমবায় আইনের আওতায় যে ব্যবসায় সংগঠন গড়ে তােলে তাকে সমবায় সংগঠন বলা হয়ে থাকে ।

সকলের তরে সকলে , একতাই বল , স্বাবলম্বনই শ্রেষ্ঠ অবলম্বন ইত্যাদি হলাে এর মূলমন্ত্র । হেনরি কালভার্ট বলেছেন , “ সমবায় হলাে এমন একটি সংগঠন যার ফলে সমবায় ভিত্তিতে অর্থনৈতিক স্বার্থরক্ষার জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি স্বেচ্ছাকৃতভাবে একত্রিত হয় । 

দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ধারণা ব্যাখ্যা

বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ যার অর্থনৈতিক সমস্যাসমূহের মাঝে দারিদ্র্য অন্যতম। সমাজ নির্ধারিত সাধারণ জীবনযাত্রার মানের চেয়ে যাদের জীবনযাত্রার মান কম তারাই দরিদ্র এবং এই দরিদ্র অবস্থাকেই দারিদ্র্য বলে। বাংলাদেশের পঞ্চ-বার্ষিক পরিকল্পনার প্রদত্ত দারিদ্র্যের সংজ্ঞা অনুযায়ী, “দারিদ্র্য বলতে জীবনযাত্রার ন্যূনতম মানের জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদের মলিকানা ও ব্যবহারের অধিকার হতে বঞ্চিত মানুষের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও মানসিক অবস্থা বোঝায়।” অধ্যাপক এ. কে. সেন বলেন, “দৈহিক দক্ষতা বজায় রাখার জন্য যে পরিমাণ খাদ্য ও অন্যান্য সেবা প্রয়োজন তা যারা মেটাতে পারে না তারাই দরিদ্র”।

দারিদ্র্য একটি বহুমাত্রিক অর্থনৈতিক সমস্যা। বাসস্থান চিকিৎসা, শিক্ষা প্রভৃতি মৌলিক মানবিক চাহিদা পূরণ করতে না পারাই হল দারিদ্র্য। একটি ন্যূনতম পরিমাণ আয় উপার্জন ছাড়া এ সমস্ত অভাব পূরন করা যায় না। তাই একটি ন্যূনতম পরিমাণ আয় উপার্জন করতে না পারাই হল দারিদ্র্যতা। স্বাধীনতা অর্জনের পর বাংলাদেশের প্রথম পঞ্চ-বার্ষিকী পরিকল্পনায় বলা হয়েছে “ব্যাপক অর্থে দারিদ্র্য বলতে ঐ সকল মানুষের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও মানসিক বঞ্চনা বোঝায় যারা ন্যূনতম জীবনযাত্রার স্তরের জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদের মালিকানা বা ব্যবহারের অধিকার থেকে বঞ্চিত।” দারিদ্র্যতাকে আবার অনেকেই ক্যালরী গ্রহনের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করেছেন।

অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট স্তরের নিচে ক্যালরী গ্রহিতারাই দরিদ্র। এ ক্ষেত্রে এর গবেষনা অনুযায়ী যারা ২২০০ ক্যালরী শক্তির খাদ্য পায় না তারাই দরিদ্র। সুতরাং বলা যায় অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানের মত মৌলিক চাহিদা পূরণের অভাবই হল দারিদ্র। ১৯৭৩ সাল থেকে ২০১৫ পর্যন্ত ৬টি পঞ্চ বার্ষিকী পরিকল্পনা এবং একটি দ্বিবার্ষিক পরিকল্পনার মাধ্যমে বাংলাদেশ দারিদ্র্য বিমোচণে বিশেষ কর্মসূচী গ্রহণ করেছে।

সমবায় সমিতির সুবিধাসমূহ বর্ণনা

১. স্বেচ্ছামূলক সংগঠন সমবায় সমিতি সমাজের সমভাবাপন্ন অর্থাৎ মধ্যবিত্ত ও নিুবিত্ত কতিপয় ব্যক্তির স্বেচ্ছায়মূলক সংগঠন সদস্যরা পারস্পরিক সুবিধা ও আর্থিক কল্যাণের আশায় এই সমিতি গঠন করে।

২. সদস্য পদ প্রাপ্ত বয়ষ্ক সমপেশা বা সমপর্যায়ের যেকোন লোক ইচ্ছে করলেই এই সমিতির সদস্য হতে পারে। তবে প্রচলিত সমবায় সমিতি আইন অনুযায়ী ইহা গঠনে সর্বনিু ১০ জন সদস্যের প্রয়োজন হয় এবং সর্বোচ্চ সদস্য সংখ্যার কোন সীমা নেই।

৩. উদ্দেশ্য মুনাফা অর্জনই সমবায় সমিতির মূল উদ্দেশ্য নয়। পণ্য ও সেবা উৎপাদন ও বন্টনের সকল ক্ষেত্রে সদস্যদের পারস্পরিক সহযোগিতা, আর্থিক কল্যাণ ও সমৃদ্ধি অর্জনই ইহার, মূল উদ্দেশ্য।

৪. নিবন্ধন সমবায় সমিতিকে বাংলাদেশ সমবায় সমিতি অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এবং সমবায় সমিতি নিয়মাবলী ১৯৮৭ দ্বারা বাধ্যতামূলকভাবে নিবন্ধিত, পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হতে হয়।

৫. আইনগত সত্বা আইন দ্বারা সৃষ্ট বলে সমবায় সমিতি কৃত্রিম ও স্বতন্ত্র সত্বা বিশেষ। ইহা নিজ নামে পরিচিত ও পরিচালিত হয়। নিজস্ব সীল মোহর থাকে। নিজে অন্যের বিরুদ্ধে বা অন্যে সমিতির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে পারে। অপর দিকে কোন সদস্যের মৃত্যু বা অবসরেও ইহার অবসান হয় না।

৬. শেয়ার মূলধন সমিতির শেয়ার কতকগুলো সমান অংশে বিভক্ত থাকে। প্রতিটি শেয়ার মূল্য ১০ টাকার কম হতে পারে না। সদস্যরা শেয়ার ক্রয়ের মাধ্যমে সমিতির মূলধন সরবরাহ করে। তবে সমবায় সমিতির অধ্যাদেশ অনুযায়ী শেয়ার মূল্য দ্বারা সীমিত দায় সমিতির কোন সদস্য সমিতির ১৫ অংশের বা ৫০০০ টাকা অধিক শেয়ার মূলধন সরবরাহ করতে পারে না।

৭. গণতান্ত্রিক নীতি সমিতির শেয়ার মূলধন যার যে পরিমাণই থাকুক না কেন তা বিবেচনার বিষয় নয়। ‘এক মাথা এক ভোট’ এই গণতান্ত্রিক নীতির উপরই সমবায় সমিতি পরিচালিত হয়।

৮. দায়-দায়িত্ব সাধারণ ভাবে সমিতির সদস্যদের দায়িত্বের প্রকৃতি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগকৃত শেয়ার মূল্য দ্বারা সীমাবদ্ধ থাকে। তবে সীমাহীন দায় সম্পন্ন সমবায় সমিতির গঠন করা যেতে পারে।

৯. মুনাফা বন্টন মুনাফা অর্জন মূল উদ্দেশ্য না হলেও সমিতির কার্যক্রম থেকে বেশ মুনাফা অর্জিত হয়। অর্জিত মুনাফার ১ ৫ অংশ সঞ্চিত তহবিলে জমা রেখে বাকী টাকা সদস্যদের মধ্যে শেয়ার অনুপাতে বন্টন করা হয়। তবে, ভোক্তা সমবায় সমিতির ক্ষেত্রে অর্জিত মুনাফা বার্ষিক মোট ক্রয়ের অনুপাতে বন্টিত হয়।

১০. ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব সদস্য কর্তৃক নির্বাচিত পরিচালনা পরিষদের উপর সম্পূর্ণ ন্যাস্ত থাকে। পরিচালা পরিষদ তাদের কার্যক্রমের জন্য সাধারণ সদস্যদের নিকট দায়ী থাকে। পরিচালনা পরিষদের সদস্য সংখ্যা ৬ থেকে ১২ জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে।

১১. সমবায়ের আদর্শ সমবায় সমিতির মূল আদর্শ বা নীতিমালা হলো একতাই বল, সততা, সংহতি, সাম্য, নৈকট্য, সহযোগিতা ইত্যাদি। এ সকল নীতিমালা বা আদর্শ সমবায় সমিতি গঠন, পরিচালনা ও সাফল্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

১২. সেবার বিস্তার সমবায় সমিতি সদস্যদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদানের জন্য গঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানের সাফল্য ও উন্নতির সাথে সাথে ইহার সদস্যদের জন্য সেবার পরিধিও বৃদ্ধি পেতে থাকে।

১৩. ঋণদান ও ঋণ গ্রহণ সাধারণভাবে সমবায় সমিতি সদস্য ছাড়া অপর কাউকে ঋণ প্রদান করতে পারে না এবং সদস্য ছাড়া অপর কারও নিকট থেকে ঋণ গ্রহণ করতে পারে না। তবে নিবন্ধকের পূর্বানুমতি ও উপ-বিধির শর্তানুযায়ী এর ব্যতিক্রম করতে পারে।

১৪. শেয়ার হস্তান্তর ইহার শেয়ার অবাধে হস্তান্তর যোগ্য নয়। ১৯৮৪ সালের সমবায় সমিতি অর্ডিন্যান্সের শর্তানুযায়ী সমিতির সম্মতিক্রমে সীমাবদ্ধ দায়যুক্ত সমবায় সমিতির শেয়ার হস্তান্তর করা যায় এবং অসীমাবদ্ধ দায়যুক্ত সমবায় সমিতির শেয়ার সদস্য ছাড়া অন্য কারও নিকট হস্তান্তর করা যায় না।

১৫. সরকারী নিয়ন্ত্রণ সরকার সৃষ্ট আইনের অধীনে সমবায় সমিতি গঠিত ও পরিচালিত হয়। তাই ইহার উপর সরকারী নিয়ন্ত্রণ ও পৃষ্ঠপোষকতা বজায় থাকে।

১৬. হিসাব নিরীক্ষা প্রত্যেক হিসাব বৎসর শেষে সমবায় সমিতির হিসাব পত্র চাটার্ট একাউন্ট্যান্ট কর্তৃক নিরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক।

১৭. বিলোপসাধন আইন দ্বারা সৃষ্ট কৃত্রিম ব্যক্তিসত্তার কারণে সমবায় সমিতি সহজে বিলোপ হয় না। তবে সদস্যরা ইচ্ছা করলে সমিতির আইনের নির্ধারিত ধারার আলোকে ইহার বিলোপ ঘটাতে পারে।

দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ভাগ্য উন্নয়নে সমবায় সমিতির পক্ষে মতামত

বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সমবায় সমিতির অবদান

বাংলাদেশের একটি অংশ দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে। এদেশের কৃষক শ্রমিক, ক্ষুদ্র পুঁজির মালিক, কারিগর, জেলে, তাঁতি প্রভৃতি শ্রেণির লোক নানা সমস্যায় জর্জরিত। এদের আর্থিক দিক থেকে সাবলম্বী করে জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে সমবায় সমিতির ভূমিকা অপরিসীম। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সমবায় সমিতির অবদান নিম্নে বর্ণনা করা হলো:

১. যৌথ প্রচেষ্টার ক্ষেত্র তৈরী : যেখানে একক প্রচেষ্টায় সফলকাম হওয়া যায় না সেখানে যৌথ প্রচেষ্টায় সমবায় সমিতি গঠন করে সমাজের বিত্তহীন মানুষগুলো নিজেদের অর্থনৈতিক কল্যাণ সাধনের চেষ্টা করে।

২. মূলধন গঠন : দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে মূলধন গঠন ও তা বিনিয়োগ অপরিহার্য। দেশের অধিকাংশ লোক গরীব বলে তারা এককভাবে এ মূলধন গঠন করতে পারে না। তবে সমবায় সমিতি গঠনের মাধ্যমে এর সদস্যরা তাদের স্বল্প পুঁজি একত্রিত করে মূলধন গঠন করতে পারে।

৩. আত্মসচেতনতা ও ঐক্য সৃষ্টি : ব্যক্তি স্বার্থ যেখানে সীমিত একক প্রচেষ্টায় সেখানে সাফল্য আসে না। সেখানে যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে সমবায় সমিতি তার সদস্যদের মধ্যে আত্মসচেতনতা বৃদ্ধি ও ঐক্য সৃষ্টি করে তাদের মধ্যে অর্থনৈতিক সাফল্য এনে দেয়।

৪. ঋণের সুযোগ সৃষ্টি : বাংলাদেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠী আর্থিক সংকটের সময় মহাজন শ্রেণীর কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে হিতে বিপরীত অবস্থার সৃষ্টি করে। এ সকল লোককে একত্রিত করে ঋণদান সমবায় সমিতি গঠন করা গেলে সেখান থেকে তারা সহজেই ঋণ গ্রহণ করতে পারবে।

৫. কুটির শিল্পের সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন : আমাদের দেশে অনেক ক্ষুদ্র শিল্প রয়েছে যার মালিকগণ সীমিত সামর্থ্যরে কারনে একক প্রচেষ্টায় সাফল্য অর্জন করতে পারে না। এক্ষেত্রে সমবায় সমিতি গঠনের মাধ্যমে সহজেই উক্ত শিল্পের সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন সম্ভব হয়।

৬. কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি : সমবায় সমিতি সমাজের বিত্তহীন মানুষদের সংগঠিত করে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান গঠনে সহায়তা করে। এতে শিল্প মালিকদের আত্মকর্মসংস্থানের পাশাপাশি বাইরের লোকদেরও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়।

৭. দক্ষতার উন্নয়ন : সমবায় সমিতি সদস্যদের শুধুমাত্র ঐক্যবদ্ধই করে না এবং বিভিন্ন প্রকার প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে তাদেরকে কার্যসম্পাদনে দক্ষ করে তোলে।

৮. নৈতিক শিক্ষাদান : দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সমবায় এর সদস্যদের প্রশিক্ষণ সুবিধা প্রদানের সাথে সাথে একতা, সাম্য, সততা, সহযোগিতা, গণতন্ত্র, বন্ধুত্ব, সেবা ইত্যাদি নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলে।

Leave a Comment