এইচএসসি বিএম দ্বাদশ শ্রেণীর হিসাববিজ্ঞান নীতি ও প্রয়োগ ২য় পত্র ১০ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ | HSC BM 12th class Accounting Policy and Application 2nd Paper 10th Week Assignment Answer 2021


এইচএসসি বিএম দ্বাদশ শ্রেণীর হিসাববিজ্ঞান নীতি ও প্রয়োগ ২য় পত্র ১০ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ | HSC BM 12th class Accounting Policy and Application 2nd Paper 10th Week Assignment Answer 2021

 ১. আর্থিক অবস্থার বিবরণীর প্রস্তুত করার উদ্দেশ্যগুলো ব্যাখ্যা কর।

২. সংক কোম্পানি লিমিটেড প্র তিটি ২০ টাকা মূল্যের ২০,০০০ সাধারণ শেয়ারে বিভক্ত ৪,০০,০০০

টাকায় অনুমোদিত মূলধন নিবন্ধিত হয়েছিল। ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে কোম্পানির

রেওয়ামিল নিম্নলিখিত ছিলঃ

সমনন্বয়সমূহঃ

ক) সমাপনী মজুদ পণ্য ৫০,০০০ টাকা এবং মনিহারী মজুদ আছে ২,০০০ টাকা।

খ) বেতন ১০,০০০ টাকা বকেয়া আছে। ভাড়া ২,০০০ টাকা অগ্রিম প্রদত্ত হয়েছে।

গ) কলকব্জা ও আসবাবপত্রের উপর যথাক্রমে ৫% এবং ১০% অবচয় চার্জ করতে হবে।

ঘ) প্রাপ্য হিসাবের উপর ৫% হারে অনাদায়ী পাওনা সδিতি এবং ২% বাট্টা সδিতি ধরতে হবে।

ঙ) শেয়ার মূলধনের উপর ১০% হারে লভ্যাংশ ঘোষণা করতে হবে। সδিতি তহবিল ১,৫০,০০০

টাকায় উন্নীত করতে হবে।

উপবিউক্ত সমন্বয় সমূহ সাধন করে ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে সমাপ্ত বছরের বিশদ আয়

বিবরণী ও রক্ষিত আয় বিবরণী প্রস্তুত কর।

এইচএসসি বিএম দ্বাদশ শ্রেণীর হিসাববিজ্ঞান নীতি ও প্রয়োগ ২য় পত্র ১০ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ | HSC BM 12th class Accounting Policy and Application 2nd Paper 10th Week Assignment Answer 2021

আর্থিক অবস্থার বিবরণীর প্রস্তুত করার উদ্দেশ্য

একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সারা বছরের আর্থিক ফলাফল ও আর্থিক অবস্থা জানার ধারাবাহিক প্রক্রিয়াকে আর্থিক বিবরণী বলা হয়।

এই আর্থিক বিবরণীর উপর বিভিন্ন প্রকার ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ যুক্ত থাকে। বিভিন্ন ব্যক্তি, কারবার প্রতিষ্ঠানের মালিক, ব্যবস্থাপনা, পাওনাদার, সরকার ইত্যাদি আগ্রহী পক্ষ আর্থিক বিবরণী তথ্য ব্যবহার করে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহন করে থাকে। অতএব বলা যায়, আর্থিক বিবরণী হল কারবার প্রতিষ্ঠানের নির্ভুল আর্থিক ফলাফল ও আর্থিক অবস্থার বিবরণী। আন্তর্জাতিক হিসাব মান অনুযায়ী আর্থিক বিবরণীর ৫টি ধাপ রয়েছে। এ ধাপগুলো হলো

১. বিশদ আয় বিবরণী

২. মালিকানা স্বত্ব বিবরণী

৩. আর্থিক অবস্থার বিবরণী

৪. নগদ প্রবাহ বিবরণী

৫. আর্থিক অবস্থা বিবরণীর টীকাসমূহ

আধুনিক কারবারী জগতে দুটি বিবরণীকে প্রধানত: আর্থিক বিবরণী হিসাবে অভিহিত করা হয়। এ দুটি বিবরণী হলোক. বিশদ আয় বিবরণী

খ. আর্থিক অবস্থার বিবরণী এক্ষেত্রে আমরা মালিকানা স্বত্ত্ব বিবরণীর ধারণা ও প্রস্তুত প্রণালীও বর্ণনা করব। আর্থিক বিবরণীর উদ্দেশ্য একটি হিসাবকাল শেষে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ফলাফল প্রস্তুত করা হয়। এই আর্থিক ফলাফল থেকে বিভিন্ন স্বার্থযুক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী তথ্য ব্যবহার করে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে। নিম্নে আর্থিক বিবরণীর উদ্দেশ্যসমূহ বর্ণনা করা হলো১. আর্থিক অবস্থা নিরূপণ : হিসাবকাল শেষে একটি নির্দিষ্ট তারিখে ব্যবসায়ের সঠিক আর্থিক অবস্থা তুলে ধরা।

২. সম্পত্তির পরিমাণ সম্পর্কে জানা : বিভিন্ন প্রকার সম্পত্তির পরিমাণ সম্পর্কে জানার জন্য আর্থিক বিবরণী তৈরী করা।

৩. দায়ের পরিমাণ সম্পর্কে জানা : আর্থিক বিবরণী তৈরির মাধ্যমে ব্যবসায়ের চলতি ও দীর্ঘমেয়াদী দায় সম্পর্কে জানা যায়।

৪. মূলধনের পরিমাণ জানা : আর্থিক বিবরণীর মাধ্যমে হিসাবকাল শেষে মালিকের সমাপনী মূলধন অর্থাৎ মালিকানা স্বত্ত্বের পরিমাণ জানা যায়।

৫. দায়-পরিশোধ ক্ষমতা : বিনিয়োগকারী ও ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ আর্থিক বিবরণী থেকে দায় পরিশোধের ক্ষমতা সম্পর্কে তথ্য পেয়ে থাকে।

৬. অগ্রিম ও বকেয়া সম্পর্কে জানা : প্রতিষ্ঠানের বকেয়া দেনা-পাওনা ও অগ্রিম আয়-ব্যয় সম্পর্কে আর্থিক বিবরণী থেকে ধারণা পাওয়া যায়।

৭. তুলনামূলক বিশ্লেষণ : কয়েক বছরের আর্থিক বিবরণী থেকে সম্পত্তি ও দায়ের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা যায়। আর্থিক বিবরণীর গুরুত্ব বা প্রয়োজনীয়তা :

যেহেতু আর্থিক বিবরণী ব্যবহার করে বিভিন্ন স্বার্থযুক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাদের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তাই এর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। নিচে আর্থিক বিবরণীর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হল :

১. ব্যবস্থাপনা : ব্যবসায়ের সঠিক অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা আর্থিক বিবরণী থেকে পাওয়া যায়। ফলে ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হয়।

২. বিনিয়োগকারী : বিনিয়োগকারী তার বিনিয়োগ সম্পর্কে সঠিক ধারণা নিতে পারে আর্থিক বিবরণী থেকে। আর্থিক বিবরণী হতে প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘকালীন স্বচ্ছলতার পরিমাপ করা যায়।

৩. পাওনাদারগণ : ব্যবসায়ে চলতি সম্পত্তির পরিমাণ পর্যাপ্ত কিনা তাই পাওনাদারগণ সহজেই আর্থিক বিবরণী হতে জানতে পারে।

৪. ব্যাংক প্রতিষ্ঠান : ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে প্রদত্ত ঋণ যথার্থভাবে সুরক্ষিত আছে কিনা তা ব্যাংক আর্থিক বিবরণী পর্যালোচনার মাধ্যমে অবগত হতে পারে।

৫. সরকার : ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের আর্থিক বিবরণী হতে সরকার, ভ্যাট, আয়কর ও বিভিন্ন প্রকার শুল্ক আদায় করতে পারে। পাশাপাশি সরকারের প্রণীত নিয়মকানুন মেনে প্রতিষ্ঠানগুলো চলছে কিনা তা জানতে পারে।

৬. কর্মচারী : কর্মচারীগণ নিজের স্বার্থের জন্য প্রতিষ্ঠানের সার্বিক আর্থিক অবস্থা জানতে চায়।

৭. গবেষক : দেশের আর্থিক অবস্থা গবেষণার জন্য আর্থিক বিবরণীর প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি।

সংক কোম্পানি লিমিটেড প্র তিটি ২০ টাকা মূল্যের ২০,০০০ সাধারণ শেয়ারে বিভক্ত ৪,০০,০০০ টাকায় অনুমোদিত মূলধন নিবন্ধিত হয়েছিল। ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে কোম্পানির

রেওয়ামিল নিম্নলিখিত ছিলঃ

Leave a Comment