HSC Diploma in Commerce Computer Office Application (2) 12 Class 3rd Week Assignment Solution 2021| এইচএসসি ডিপ্লোমা ইন কমার্স কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন (২) ১২ শ্রেণী ৩য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২১


অ্যাসাইনমেন্ট :
ক. ইনপুট আউটপুট ডিভাইসগুলো লিখ।
খ. পয়েন্টিং ও প্লটার এর প্রকারভেদ লিখ।
শিখনফল/বিষয়বস্তু :
ইনপুট আউটপুট ডিভাইসের প্রাথমিক ধারণা ব্যাখ্যা করতে পারবো
ইনপুট আউটপুট ডিভাইসের প্রকারভেদ বর্ণনা করতে পারবো।
ইনপুট আউটপুট ডিভাইস এর কার্যাবলী ব্যাখ্যা করতে পারবো
নির্দেশনা (সংকেত/ ধাপ/ পরিধি):
ইনপুট আউটপুট ডিভাইসের প্রাথমিক ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে
ইনপুট আউটপুট ডিভাইসের প্রকারভেদ বর্ণনা করতে হবে
ইনপুট আউটপুট ডিভাইস এর কার্যাবলী ব্যাখ্যা করতে হবে
উত্তর সমূহ
  • ইনপুট আউটপুট ডিভাইসের প্রাথমিক ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে
ইংরেজি ভাষায় ইনপুট/আউটপুট এবং বাংলা ভাষায় প্রবিষ্ট/ নিষ্কৃত হল কম্পিউটারের সাথে মানুষের যোগাযোগের অপর নাম। কম্পিউটারের পরিভাষায় ইনপুট/আউটপুট বা আই/ও হল একটি তথ্য প্রক্রিয়াকরণ ব্যবস্থা (যেমন কম্পিউটার) সাথে বাইরের জগতের কারো সাথে যোগাযোগ হয় যেমন মানুষ। প্রবিষ্ট বা ইনপুট হল কম্পিউটার ব্যবস্থাকে প্রদত্ত বা এটিকে প্রবেশ করানো সংকেত বা তথ্য যা সেটি গ্রহণ করে এবং
নিষ্কৃত বা আউটপুট হল ঠিক তার উল্টো মানে কমপিউটার ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসা বা নিষ্কাশিত সংকেত বা তথ্য যা আমরা গ্রহণ করি। এক কথায় বলতে গেলে যেসব ডিভাইসের মাধ্যমে কম্পিউটারে তথ্য বা ডাটা প্রবেশ করানো যায় অথবা কমান্ড বা নির্দেশ দেওয়া যায়, সেগুলোই ইনপুট ডিভাইস। আর কম্পিউটার থেকে কোনো তথ্য, অডিও, গ্রাফিকস বা যেকোনো ডাটা আউটপুট করতে আউটপুট ডিভাইসের দরকার হয়।

কম্পিউটারের ইনপুট ডিভাইসের উদাহরণ
  1. কী- বোর্ড,
  2. মাউস,
  3. স্ক্যানার
  4. ও. এম. আর
  5. গ্রাফিক্স ট্যাবলেট,
  6. ওয়েবক্যাম,
  7. জয়-স্টিক,
  8. সেন্সর
  9. লাইটপেন,

কম্পিউটারের আউটপুট ডিভাইসের উদাহরণ
  1. মনিটর,
  2. প্রিন্টার,
  3. স্পিকার,
  4. প্রজেক্টর,
  5. হেডফোন,
  6. প্লটার,
  7. ভিজ্যুয়াল ডিসপ্লে ইউনিট,
  8. ফিল্ম রেকর্ডার,
  9. মাইক্রোফিস
  • ইনপুট আউটপুট ডিভাইসের প্রকারভেদ বর্ণনা করতে হবে
Mouse
মাউস একটি সর্বাধিক জনপ্রিয় পয়েন্টিং ডিভাইস। ১৯৬৩ সালে ডগলাস এঞ্জেলবার্ট মাউস আবিষ্কার করেন। ১৯৮৪ সালে মেকিন্টস কম্পিউটারে প্রথম মাউস ব্যবহৃত হয়। এটি খুব বিখ্যাত কার্সর-কন্ট্রোল ডিভাইস যা দ্বিমাত্রিক গতি সনাক্ত করতে পারে। মাউসের গতি সাধারণত ডিসপ্লেতে পয়েন্টারের গতিতে অনুবাদ করা হয়, যা একটি কম্পিউটারের Graphical User Interface মসৃণভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। মাউস নারালে কম্পিউটারে যে তীর চিহ্নটি নড়াচড়া করে তাকে কার্সর বা পয়েন্টার বলে।
মাউসের বোতামগুলি চাপলে CPU-তে সম্পর্কিত সংকেত প্রেরণ করা হয়। সাধারণত, মাউসে দুটি বোতাম রয়েছে: ডান বোতাম ও বাম বোতাম এবং বোতামগুলির মধ্যে একটি চাকা রয়েছে। বাম
বোতামটি মূলত ক্লিক, ড্রাগ এন্ড ড্রপ ও সিলেক্ট করার কাজে ব্যবহৃত হয় আর ডান বোতামে কিছু অতিরিক্ত বিশেষ সুবিধা যুক্ত থাকে যা সফ্টওয়্যার অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন হয়। চাকাটি ঘুরিয়ে একটি পৃষ্ঠাকে উপরে বা নিচে করা যায়। মাউসের মূল ব্যবহারগুলো হল-
Pointing
Click
Drag & Drop
Select

জয়স্টিক
এটিও একটি পয়েন্টিং ডিভাইস। এতে আয়তাকার বেসের ওপর একটি স্টিক বা লাঠি সদৃশ বস্তু বসানো থাকে যা দিয়ে বিভিন্ন অভিমুখে এর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত কোন যন্ত্রকে পরিচালনা করা যায়। জয়স্টিকের কাজ একটি মাউসের মতোই।
এটি মূলত কম্পিউটার Designing এবং কম্পিউটার গেম খেলতে ব্যবহৃত হয়। প্রায় সমস্ত সামরিক ও বেসামরিক বিমানের ককপিটে জয়স্টক ব্যবহৃত হয়। এছাড়া ভার্চুয়াল রিয়ালিটি এবং সিমুলেশনের কাজেও জয়স্টিকের ব্যবহার রয়েছে। 

ডিজিটাইজার বা গ্রফিক্স ট্যাবলেট 
এটি একটি কম্পিউটার ইনপুট ডিভাইস যা ব্যবহারকারীর হাতে আঁকা ছবি, এ্যানিমেশন এবং গ্রাফিক্সকে বিশেষ কলম সদৃশ স্টাইলাস দিয়ে আঁকার সুবিধা দেয়। বাস্তব কাগজ, কলম, তুলি,
পেন্সিল ইত্যাদি দিয়ে ছবি আঁকার মতই গ্রাফিক্স ট্যাবলেটে ছবি আঁকা যায়। তবে এই ছবিটি হয় ডিজিটাল। এই সমস্ত ট্যাবলেট দিয়ে হাতে লিখা স্বাক্ষর ডেটা ইনপুট হিসেবে কম্পিউটারে দেয়া সম্ভব হয়। এটি দিয়ে কোন ছবিকে একটি কাগজ হতে ট্রেস করা যায়। বাংলাদেশ ভূমি জরিপ অধিদপ্তর ডিজিটাইজার ব্যবহার করে।

যন্ত্রটিতে একটি সমতল বর্গাকার উপরিভাগ থাকে যাতে ব্যবহারকারীরা স্টাইলাস পেন বা কলমের সদৃশ যন্ত্র দ্বারা আঁকতে পারেন বা ট্রেস করতে পারেন। অঙ্কিত ছবিটি কম্পিউটারের মনিটরে দেখা যায়। কিছু ট্যাবলেট মাউসের পরিবর্তে প্রাথমিক পয়েন্টার বা নির্দেশক এবং নেভিগেশন
যন্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

লাইট পেন
এটি দেখতে কলমের মত। এর মাথায় লাইট সেন্সর থাকে যা আলো অনুভব করতে পারে। এটি ব্যবহারকারীকে পর্দায় দেখতে পাওয়া বস্তু নির্দেশ করতে বা আঁকতে সাহায্য করে যেমনটা টাচস্ক্রীনে করা হয়। কিন্তু এটির মাধ্যমে কাজটি আরও অধিক সুক্ষতার সাথে করা যায়। প্রকৌশল নকশা, ডায়াগ্রাম ইত্যাদি তৈরিতে লাইট পেন ব্যবহৃত হয়।

  • ইনপুট আউটপুট ডিভাইস এর কার্যাবলী ব্যাখ্যা করতে হবে
ইনপুট-আউটপুটের হাজারও কাজ রয়েছে, বলতে গেল এটা হলো একটা ভাষা। যার মাধ্যমে যেকোন কিছু, কোন ডিভাইসে প্রবেশ করিয়ে তার ফলাফল পাওয়া কে বোঝায়। এটা শুধু ইলেকট্রনিক্স এর ভাষায় ব্যবহার হয় না। বিভিন্ন কাজের উদাহারণ হিসাবে হাজার হাজার ভাবে ব্যবহার করা হয়। যেমন-

আপনি যদি অনেক বই পড়ে নিজের ভিতরের জ্ঞান বৃদ্ধি করে পরিক্ষা দেন তাহলে রেজাল্ট ভালো হবে এখানে পড়ে জ্ঞান বাড়ানোকে ইনপুট বলা হয়েছে আর রেজাল্টকে আউটপুট বলা
হয়েছে। CPU থেকে আসা binary ইনফর্মেশন গুলিকে, translate বা রূপান্তরিত করে, ইউজার এর ভাষায় পরিবেশন করা। যার মাধ্যমে কোনো ইউজার প্রসেসিং ডাটা গুলিকে বুঝতে পারে।

Leave a Comment