স্তর: এসএসসি পরিক্ষা ২০২১, বিভাগ: মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা; বিষয়: অর্থনীতি, বিষয় কোড: ১৪১; মোট নম্বর: ১৬, অ্যাসাইনমেন্ট নম্বর: ০৪

অধ্যায় ও অধ্যায়ের শিরোনাম: অধ্যায়-তৃতীয়; উপযােগ, চাহিদা , যােগান ও ভারসাম্য;

অ্যাসাইনমেন্ট: কোভিট-১৯ পরিস্থিতিতে মাস্কের
বিভিন্ন দামে চাহিদা ও যােগানের পরিমাণ
এসএসসি পরিক্ষা ২০২১ ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন এবং উত্তর|SSC Exam 2021 6th Week Assignment Questions and Answers

উক্ত সূচি অনুযায়ী চাহিদা রেখা, যােগান রেখা, ভারসাম্য দাম ও পরিমাণ নির্ণয়সহ পছন্দমতাে দ্রব্যের একটি চাহিদা সূচি নিয়ে চাহিদা রেখা অংকন;

শিখনফল বিষয়বস্তু:
• দাম ও চাহিদার পরিমাণের সম্পর্ক ব্যাখ্যা করতে পারবে।নদাম ও যােগানের পরিমাণের সম্পর্ক ব্যাখ্যা করতে পারবে;
• ভারসাম্য পরিমাণ নির্ণয় করতে পারবে;

নির্দেশনা (সংকেত/ধাপ/পরিধি):
• চাহিদা; • চাহিদা সূচি; • চাহিদা রেখা; • যােগান; •
যােগান সূচি; • যােগান রেখা;  • ভারসাম্য দাম ও পরিমাণ;

এসএসসি ২০২১ ষষ্ঠ সপ্তাহের অর্থনীতি অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর


ক) চাহিদা রেখা অঙ্কন

অন্যান্য অবস্থা অপরিবর্তিত থাকা অবস্থায় কোন দ্রব্যের দাম ও চাহিদার পরিমাণের মধ্যে সম্পর্ককে যে সারণির মাধ্যমে দেখানো হয় তা হচ্ছে চাহিদা সূচি। সারণি-১ এ মাস্ক এর চাহিদা সূচি দেখানো হয়েছে। প্রতিটি দামে ভোক্তা যে পরিমাণ মাস্ক ক্রয় করে তা নির্ধারণ করতে পারি।

সারণি ১ : মাস্কের চাহিদা সূচি

সংমিশ্রণ

মাস্ক এর দাম

 (টাকায়)

চাহিদার পরিমাণ

(সংখ্যায়) 

a

৩০০

b

২০০

c

১০০

১০

সারণিতে, সারণিতে মাস্ক এর দাম যখন ৩০০ টাকা দামে ভোক্তা তখন ৬ । ২০০ টাকা দামে ভোক্তা ৮। এভাবে সারণি থেকে দেখা যায়, দাম যত কমছে মাস্কের চাহিদার পরিমাণ তত বাড়ছে। চাহিদা সূচি অনুযায়ী আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, একটি নির্দিষ্ট সময়ে চাহিদার অন্যান্য নির্ধারণসমূহ স্থির থাকা অবস্থায় দ্রব্যের দামের উপর দ্রব্যটির প্রকৃত ক্রয়ের পরিমাণ নির্ভর করে। 

চিত্র ১: মাস্ক এর চাহিদা রেখা
চিত্র ১: মাস্ক এর চাহিদা রেখা

রেখাচিত্রের মাধ্যমে চাহিদা সূচির প্রকাশই হচ্ছে চাহিদা রেখা। চিত্র ১ এ YO বা লম্ব অক্ষে মাস্কের দাম ও XO বা ভূমি অক্ষে মাস্কের চাহিদার পরিমাণ দেখানো হয়েছে। DD হচ্ছে ভোক্তার মাস্কের চাহিদা রেখা। এই রেখার a,b,c বিন্দুগুলোতে বিভিন্ন দামে চাহিদার বিভিন্ন পরিমাণ প্রকাশ পায়। যেমন, a বিন্দু দ্বারা বোঝা যায়, ৩০০ টাকা দামে ভোক্তা ৬ টি মাস্ক ক্রয় করে। আবার b বিন্দুতে ২০০ টাকা দামে ভোক্তা ৮ টি মাস্ক ক্রয় করে। অর্থাৎ দাম ও চাহিদার মধ্যে বিপরীত সম্পর্ক বিদ্যমান। দাম কমার সাথে সাথে চাহিদার পরিমাণ বাড়তে থাকে এবং চাহিদা রেখাটি বাম থেকে ডান দিকে নিম্নগামী হয়ে থাকে।


খ) যোগান রেখা অংকন ও ব্যাখ্যা

চাহিদা সূচির মত যোগান সূচিকে একটি ছকের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় যা দ্রব্যের দাম ও যোগানের পরিমাণের মধ্যে সম্পর্ক দেখায়। সারনি ২ এ চিনির যোগান সূচি দেখানো হলো

সারণি ২ : মাস্ক এর যোগান সূচি

সংমিশ্রণ

মাস্ক এর দাম

 (টাকায়)

যোগান এর পরিমাণ

(সংখ্যায়) 

a

৩০০

১০

b

২০০

c

১০০



সারনি ২ এ দেখা যাচ্ছে যে, মাস্কের বৃদ্ধি পাবার সাথে সাথে মাস্কের যোগানের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে, যখন অন্যান্য বিষয় (যা বিক্রেতার বিক্রির পরিমাণকে প্রভাবিত করতে পারে) অপরিবর্তিত থাকে।
চিত্র: ২: মাস্কের যোগান রেখা

চিত্র: ২: মাস্কের যোগান রেখা
সারনি ২ এর যোগানসূচিকে আমরা যোগান রেখার সাহায্যে উপস্থাপন করতে পারি। চিত্র ২ এ OY অক্ষে মাস্কের দাম ও OX অক্ষে মাস্কের যোগানের পরিমাণ দেখানো হয়েছে। চিনির দাম ও চিনির যোগানের পরিমাণ- এই দুইয়ের বিভিন্ন সংমিশ্রণ a,b,c এই বিন্দুগুলোর মাধ্যমে প্রকাশ পায়। a,b,c এই বিন্দুগুলো যোগ করে বাম থেকে ডানদিকে উর্ধ্বগামী যোগান রেখা পাই।
সুতরাং যোগান রেখা দ্রব্যের দাম ও যোগানের পরিমাণের মধ্যে সমমুখী সম্পর্ককে প্রকাশ করে। অর্থাৎ, দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পেলে যোগান বৃদ্ধি পায় এবং দ্রব্যের দাম হ্রাস পেলে যোগান হ্রাস পায়। এখানে SS যোগান রেখা ।

গ) ভারসাম্য দাম ও পরিমাণ নির্ণয়
কিভাবে চাহিদা ও যোগানের পারস্পরিক ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে বাজারে দ্রব্যের দাম ও পরিমাণ নির্ধারিত হয়। বাজারে কিভাবে দাম নির্ধারিত হয় তা বিশ্লেষণের জন্য ভোক্তার চাহিদা ও বিক্রেতার যোগানের মধ্যে তুলনা করতে হবে এবং দেখতে হবে কোথায় চাহিদা ও যোগান পরস্পর সমান। সারণি ৩ ও চিত্র ৩ এ ব্যাপারে আমাদেরকে সাহায্য করবে।

সারণি ৩: মাস্কের ভারসাম্য দাম ও পরিমাণ নির্ধারণ

দাম 

চাহিদা

যোগান

উদ্বৃত্ত বা ঘাটতি 

৩০০

১০

উদ্বৃত্ত

২০০

ভারসাম্য

১০০

১০

ঘাটতি 

চাহিদা ও যোগানের ভারসাম্য


চিত্র ৩ এ বাজার চাহিদা রেখা (DD) ও বাজার যোগান রেখা (SS) পরস্পরকে ব বিন্দুতে ছেদ করেছে। এই ব বিন্দুতে বাজার ভারসাম্য বিদ্যমান। ভারসাম্য হচ্ছে এমন একটি অবস্থা যেখানে একটি নির্দিষ্ট দামে চাহিদার পরিমাণ ও যোগানের পরিমাণ সমতায় পৌঁছে। চাহিদা ও যোগানের ছেদবিন্দুতে যে দাম বিদ্যমান তা হচ্ছে ভারসাম্য দাম এবং দ্রব্যের পরিমাণ হচ্ছে ভারসাম্য পরিমাণ। চিত্রে, ভারসাম্য দাম ২০০ টাকা (প্রতি কেজি) এবং ভারসাম্য পরিমাণ ৮। ভারসাম্য দামে ভোক্তা বা ক্রেতা যে পরিমাণ দ্রব্য ক্রয় করতে ইচ্ছুক এবং বিক্রেতা যে পরিমাণ দ্রব্য বিক্রি করতে রাজি থাকে এ দু’য়ের পরিমাণ সমান থাকে। এই ভারসাম্য দামকে মাঝে মাঝে market clearing price ও বলা হয়। কারণ, এ দামে বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ই সন্তুষ্ট থাকে। সাধারণত ক্রেতা ও বিক্রেতা ক্রিয়া চাহিদা ও যোগানের ভারসাম্যকে ঘিরে আবর্তিত হয়। যখন বাজার দাম ভারসাম্য দামের সমান না হয় তখন কি হতে পারে। প্রথমে ধরে নেই, বাজার দাম ভারসাম্য দামের চেয়ে বেশি। 

ঘ) একটি পছন্দমত দ্রব্যের চাহিদা সূচি ও রেখা অঙ্কন
চিনির চাহিদা সূচি
চিনির চাহিদা সূচি
চিনির চাহিদা রেখা
চিনির চাহিদা রেখা



Leave a Comment