time dilation কী জেনে নিন বিস্তারিত | What is time dilation Find out the details


Time Dilation কী?
Time Dilation সহজ ভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা। 
Time Dilation এর আগে আমাদের জানতে হবে যে সময় কি? সময় হচ্ছে কোনো বস্তুর সরন বা এক স্থান হতে অন্য স্থানে সরে যাওয়া বা Movement. অর্থাৎ নির্দিষ্ট X স্থান হতে y স্থানে একটি বস্তু বা অনুর চলাচল বা সরন বা Movement হচ্ছে সময়। ঘড়ির ক্ষেত্রে (Digital) ইলেকট্রন এর প্রবাহ মাত্রাও হচ্ছে সময়। আমরা আমাদের সুবিধার্থে একে বিভিন্ন নাম দিয়েছি যেমনঃ ঘড়ির কাঁটা যখন ১ এর থেকে ২ এর ঘরে যাবে তখন আমরা একে বলব ৫ মিনিট বা ৫ সেকেন্ড হয়েছে বা পৃথিবী যখন সূর্যকে একবার পরিভ্রমণ করবে তখন আমরা বলি ১ বছর। অর্থাৎ কোনোকিছুরই গতিবিধিই হলো সময় আর আমরা সময়কে তৈরী করিনি শুধু আমরা আমাদের বুঝার সুবিধার্থে ও অবস্থার পরিবর্তন বুঝার জন্য কেবল একে নামকরন করেছি। এই মহাবিশ্বে প্রতিটি বস্তু গতিশীল ১০ কোটি ভাগের এক ভাগ হলেও তা Move করছে। এই গতি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই বস্তু বা প্রাণির অবস্থার বা জিবন কাল নির্ধারন বা পরিবর্তন ঘটে। আমরা জানি প্রতিটি বস্তুই অতিরিক্ত ব্যবহার এর দরূন ক্ষয় হয় অর্থাৎ ঘর্ষনের ফলে। ঠিক তেমনি মানবদেহের Cells and  Molecules প্রতি নিয়ত ব্যবহারে এর গতি বিধির কারনে ক্ষয় হচ্ছে যার ফলে আমরা বৃদ্ধ হচ্ছি তবে এই গতিবিধী যদি একটু কমিয়ে আনা যায় তাহলে আমরা একটু দেরীতে বৃদ্ধ হব।

Time Dilation: আইন্সটাইনের আপেক্ষিকতা অনুযায়ী (Theory of Relativity)  আলোর গতিতে যদি ভ্রমন করা যায় তাহলে সময় Slow হয়ে যাবে।অর্থাৎ প্রতিটা Movement Slow হয়ে যাবে ঘড়ির কাঁটাই হোক বা সেলস ও মলিকিউলস। তবে কিভাবে? 
উদাহারনঃ ধরুন  পৃথিবীতে একটি কাঁচের একটি বাক্সে একটি ক্ষুদ্র একটি বল আছে যা বাক্সের নিচ হতে উপরে বাউন্স খেয়ে গিয়ে পৌছালে ১ সেকেন্ড গননা হয়। অনরূপ ভাবে একই বাক্স আরেকটি একটি মহাকাশযানে রাখা আছে যা আলোরগতিতে চলছে। এখন এখানে যা হবে পৃথিবীতে রাখা বাক্সটির বল নিচ হতে বাক্সটির উপরের অংশে বাউন্স খেয়ে স্পর্শ করতে ১ সেকেন্ড সময় অতিক্রম করছে অর্থাৎ ১ সেকেন্ড সময় অতিবাহিত হলো। অপর দিকে মহাকাশযানটি আলোর গতিতে চলায় উচ্চ গতির কারনে সেই বাক্সটির ভেতরে থাকা বলটি নিচ হতে উপরে বাউন্স খেয়ে স্পর্স করতে পৃথিবীর বলটির তুলনায় একটু বেশি সময় লাগছে। অর্থাৎ বলটি নিচ হতে উপরে স্পর্শ করলে ১ সেকেন্ড গণনা হবে সুতরাং পৃথিবীতে ১ সেকেন্ড গননা আগে হচ্ছে এবং মহাকাশ যানটিতে তার কিছু পরে। এর মানে হচ্ছে মহাকাশ যানের ভিতরে থাকা বলটির গতিবিধি বা Movement ধীর হয়ে গিয়েছে পৃথিবীতে থাকা বলটির তুলনায়। আর আমাদের মলিকিউলস বা সেলেরও এই হাল হলে আমাদের বৃদ্ধ হতেও সময় লাগবে বেশি যেমনটি Interstellar মুভিতে আমরা দেখি পৃথিবির মতে নায়কের বয়স ১২৫ বছর হলেও তার কাছে মনে হয়েছে মাত্র কয়েকটি ঘন্টা। মানে সময় ধীর হয়ে গিয়েছিল তার সাপেক্ষে। একটু বুঝুন, আপনি স্পেসশিপটির ভেতরে যে সময় দেখছেন তা পৃথিবির তুলনায় ধীর এবং আপনার সেল ও মলিকিউলসও ধীরে ক্ষয় হচ্ছে আলোর উচ্চগতির জন্য যার ফলে আপনি বৃদ্ধও হচ্ছেন দেরীতে যেমন কচ্ছপ ধীর তাই সে বাচেও বেশী বছর। আর আপনার মহাকাশ যানের এক সেন্ড হতে হতে পৃথিবীতে কয়েক সেকেন্ড হয়ে যাচ্ছে। আপনি যদি আলোর গতিতে দেড় বছর যাত্রা করেন মহাকাশে পৃথিবীতে ১০০ বছর বা শতাব্দী অতিবাহিত হয়ে যাবে কারণ আপনার স্পেস শিপে থাকা ঘড়ি এবং সময় এবং আপনার সেল ও মলিকিউল এর গতি ও ক্ষয় উভয়ই ধীর হয়ে যাবে। তবে আমাদের আজকের প্রযুক্তি এখনো আলোর গতিতে যাত্রা করে এমন কোনো যান বানাতে সক্ষম হয়নি তবে ভবিষ্যতে কোনো এক দিন হবে হয়তো কেই বা জানে তা!  ততদিন পর্যন্ত ভালো থাকবেন আর সময় কে উপভোগ করুন। 
লেখা ভালো লাগলে আমার স্বার্থকতা।
ভুল ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর ভাবে দেখবেন বাজে মন্তব্য করে অজ্ঞতার পরিচয় দিবেন না।

Leave a Comment