৮ম শ্রেনী বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ১৬শ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট উত্তর | Class 8th Bangladesh and Bissoporicoy 16th Week Assignment Answer

আপনি যদি ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন। তাহলে এই পোষ্ট টি আপনার জন্য। কেননা আপনি আমাদের প্রকাশিত আর্টিকেলটির মাধ্যমে ১৬তম সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্টের ব্যাখ্যাসহ প্রশ্ন এবং উত্তর প্রশ্নের আলোকে নির্ভুল এবং পূর্ণাঙ্গ উত্তর প্রকাশ করেছি৷ ৮ম শ্রেণীর ১৬তম সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্টের নির্ভুল এবং পূর্ণাঙ্গ উত্তর পেতে পোস্টেটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

যে সকল ছাত্র ছাত্রীরা ৮ম শ্রেণীর ১৬তম সপ্তাহের আলাদা বিষয় ভিত্তিক অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন চাচ্ছেন তারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন। আপনি আমাদের প্রকাশিত এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ৮ম শ্রেণী বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়  অ্যাসাইনমেন্টের ব্যাখ্যাসহ প্রশ্ন ডাউনলোড করে নিতে পারেন। ফলে শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন দেখে খুব সহজেই ১৬তম সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্টের। ৮ম শ্রেণী বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্টের প্রশ্ন নিচে দেওয়া হল

অ্যাসাইনমেন্ট ০৩

তৃতীয় অধ্যায় : বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক পরিবর্তন ও উন্নয়ন
বিষয়বস্তুঃ
পাঠ ১ঃ সাংস্কৃতিক পরিবর্তন ও উন্নয়ন ধারণা
পাঠ ২সাংস্কৃতিক পরিবর্তন ও উন্নয়ন বৈশিষ্ট্য
পাঠ ৩সাংস্কৃতিক পরিবর্তন ও উন্নয়নের বিভিন্ন দিক
পাঠ ৪বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবর্তন ও উন্নয়ন
পাঠ ৫বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক পরিবর্তন ও উন্নয়নের বিকাশ ধারা এই অধ্যায়ের জন্য উল্লিখিত সকল পাঠ

অ্যাসাইনমেন্টঃ মিতব্যয়ী হওয়া) কোভিড- ১৯ পরিস্থিতিতে জীবন যাপন প্রণালীর পরিবর্তন ও নতুন পরিস্থিতিতে খাপ-খাওয়ানাের প্রক্রিয়া  শীর্ষক একটি প্রবন্ধ লিখ (সর্বোচ্চ | ৩০০ শব্দ)

সংকেত


  1. সংস্কৃতির ব্যাখ্যা
  2. সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের উদাহরণ
  3. সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের বিভিন্ন দিক
  4. কোভিড’ ১৯ পরিস্থিতিতে নিজ পরিবারের অর্থনৈতিক পরিবর্তনের উল্লেখযােগ্য দিক (আয় কমে যাওয়া/ কোভিড’ ১৯ পরিস্থিতিতে নিজ পরিবারের সামাজিক পরিবর্তনের দিক (বিয়ে, জন্মদিন ও উৎসব ইত্যাদি অনুষ্ঠানের আয়ােজন ও আচরণের ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম- কানুন/পরিবর্তনসমূহ)
  5. কোভিডের কারণে পরিবর্তিত অবস্থার সাথে নিজেদের খাপ খাওয়ানাে (যেসব বিষয় থাকতে পারে- প্রযুক্তির ব্যবহার, খাদ্যাভাসে সংযােজন, পরিচ্ছন্নতা ইত্যাদি।)

নির্দেশনাঃ

  1. পাঠ্যপুস্তক থেকে সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তন, সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের বিভিন্ন দিক ও কীভাবে সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার যােগ্যতা অর্জন করতে হয় এই পাঠগুলাে ভালােভাবে পড়তে হবে।
  2. পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে পরিবর্তনের দিকগুলাে সম্পর্কে জেনে নিতে পারে।
  3. শিক্ষক, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের সাথে (সশরীরে। মােবাইলে। টেলিফোনে/ অনলাইনে ) কথা বলে অভিজ্ঞতা বিনিময় ও আলােচনার মাধ্যমে কোভিড -১৯ কালীন পরিবর্তন (যেমন- লক ডাউন, সামাজিক দুরুত্ব, পরিচ্ছন্ন জীবন-যাপন, মিতব্যায়ী আচরন, মানবিক দায়িত্ব ইত্যাদি) সম্পর্কে ধারণা নিতে পারে।
  4. নিজের পর্যবেক্ষন ক্ষমতা দিয়ে এবং ইন্টারনেট, পত্রপত্রিকা, টিভি ও অন্যান্য মাধ্যম থেকে পরিবর্তিত অবস্থার সাথে নিজেদের খাপ খাওয়ানাে সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করতে পারে

৮ম শ্রেনী বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ১৬শ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট উত্তর | Class 8th Bangladesh and Bissoporicoy 16th Week Assignment Answer

 “কোভিড ১৯ পরিস্থিতিতে জীবনযাপন প্রণালির পরিবর্তন ও নতুন পরিস্থিতিতে খাপখায়নাে”

পৃথিবী দুটি বিশ্বযুদ্ধ দেখেছে, কোভিড-১৯ মহামারীর আগে আরাে তিনটি মহামারী দেখলাে, সবকিছু চাপিয়ে ইতিহাসে অসহায় সাক্ষী হয়ে এ থাকলাে এই শতাব্দীর তৃতীয় দশকের কোভিড-১৯ সংক্রমণ। যত দিন যাচ্ছে জীবন ধ্বংস হয়েছে, মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়েছে আর ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অর্থনীতি, প্রতিকূল হয়ে উঠছে জনজীবন। পেশাদার জীবনের গতিমুখ বদলে বাড়িই হয়ে উঠেছে নতুন অফিস। ইন্টারনেট হল নতুন অফিস কক্ষ। কিছু সময়ের জন্যে সহকর্মীদের সঙ্গে বসে কাজ করা ইতিহাসের বিষয় হয়ে উঠেছে।

এই পরিবর্তনের সঙ্গে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি স্থানীয়, জাতীয়, দেশি-বিদেশী সকল দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ নিজেদের কাজ ও নেতৃত্বের পরিবর্তন এনেছিলেন। বিশ্ব নেতারা একে অপরের সঙ্গে এখন শুধু ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমেই কথা বলতে হচ্ছে । অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও সংস্থার কাছ থেকে তৃণমূল স্তরের প্রতিক্রিয়া জানতে এখন সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষের সঙ্গেও ভিডিও কনফারেন্সিং | এর মাধ্যমে কথা বলতে হচ্ছে। বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা, নাগরিক সমাজ এবং গােষ্ঠী সংস্থার সঙ্গে এমনকি রেডিও জকিদের সঙ্গেও আলােচনা ভিডিও বার্তালাপ সীমাবদ্ধ।

প্রতিদিন সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষ তাঁদের দূরদুরান্তে থাকা পরিবাররের সদস্য ও আত্মীয় স্বজনদের। সঙ্গে ফোনে কথা বলে তাঁদের সুখ দুঃখ ভাগাভাগি করে নিচ্ছে। সামাজিক দূরত্ব, স্টে হােম, লকডাউন, হােম কোয়ারেনটাইন নতুন নতুন শব্দগুলাে মানুষের কাছে অধিক পরিচিত হয়ে উঠলাে।
মানুষ বাড়িতে বসে অফিসের কাজ চালিয়ে নিলাে, প্রথম দিকে একটু অদ্ভুত বা অসম্ভব মনে করা হলে
ও দিন দিন মানুষ অবস্ত হয়ে উঠলাে। ঘরােয়া পরিবেশে অভিনয় শিল্পীরা নিজেদের সৃষ্টিশীল অডিও - | ভিডিও বা কনটেন্ট মেকিং এর কাজ চালিয়ে নিলেন। খেলাদুলার ডিজিটাল প্রতিযােগিতা, | অনলাইনবিনােদন মূলক অনুষ্ঠান , ই-কমার্স, ই-গভর্নেন্স, ই-সেবা, ই-লার্নিং, টেলিমেডিসিন, নানা সৃষ্টিশীল উপায়ে সমাজের সর্বস্তরের মানুষেরা কোভিড-১৯ সংক্রমণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জারি রেখেছেন।

বাংলাদেশের মানুষ স্বভাবতই সবাই মিলে একসাথে বসবাস করতে অভ্যস্ত কিন্তু এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে মানুষ সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে নিজেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য সামাজিক অনুষ্ঠান, রাজনৈতিক অনুষ্ঠান এমনকি কি ঘরােয়া পরিবেশে কোন অনুষ্ঠান কিছুই আয়ােজন করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। জরুরিপ্রয়ােজনে ঘরথেকে বের হওয়ার সময় মানুষ মুখে মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব মেইনটেইন করে কাজ করতে হচ্ছে। হাসপাতলে নেওয়া যখন পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীদের প্রয়ােজন হয় মানুষ সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে তাদের সেবা যত্নও চিকিসসা করেছে। যতদিন যাচ্ছে রােগ সম্পর্কে মানুষের পরিষ্কার ধারণা বৃদ্ধি পাচ্ছে, জনসাধারণকে মাস্ক পরায় উভুদ্ধ করার লক্ষে টেলিভিশন পত্র-পত্রিকার বিভিন্ন সচেতনতা মূলক ক্যাম্পেইন হচ্ছে। সামাজিক দুরত্ব এবং সরকার নির্দেশিত নিয়ম নীতি গুলাে মেনে চলার জন্য কোথাও কোথাও আইন প্রয়ােগকারী সংস্থা খুব জোরালাে ভূমিকা পালন করছে।

কাজের জায়গাগুলির দ্রুত ডিজিটাল রূপান্তর অগ্রাধিকার এলাে । প্রযুক্তির বুহুমখী ব্যবহার ও রূপান্তরে
শিক্ষা কার্যক্রম চলতে থাকলাে, ফেসবুক, গুগলমিট, গুগল ক্লাস, জুম, স্কাইপি, হােয়াটস এপসহ নানান অনলাইন ফ্লাটফর্মে যে খানের নেটওয়ার্ক সমস্যা সেখানে বাড়ি বাড়ি গিয়েও অনেক জাগায় শিক্ষার কার্যক্রম চালিয়ে নিলেন। শিক্ষক ও প্রযুক্তিবিদগণ তাঁদের নিত্যনতুন উদ্ভাবন ও প্রয়ােগে ব্যস্ত রয়েছেন। সরকার শিক্ষকদের সহায়তা এবং ই-লার্নিংকে উৎসাহ জোগাতে নানান রকম উদ্যোগও হাতেনিয়েছেন। ব্যবহারযােগ্যতা, সাম্য এবং শিক্ষার মান উন্নত করার লক্ষ্যে চালু করা ই-পাঠশালা, টেলিভিশন স্কুল, শিক্ষার ধারাবাহিকতা ও শিখন ফল যাচায়ের উদ্যেশে শুরু হলাে সপ্তাহ ভিত্তিক এসাইনমেন্ট কার্যক্রম। এভাবে সকল শ্রেণী পেশার মানুষ নানান কলা-কৌশলের প্রযুক্তির নানান ব্যবহারে নিজেদের কাজকর্মগুলাে চালিয়ে নিলাে বাসা থেকে।

সারা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে করােনাভাইরাস এর সাথে পাল্লা দিয়ে প্রত্যেকটি দেশ নিজ নিজ অবস্থান সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নিজেদের কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছিল। খাবারের দোকান, ওষুধের দোকান নিত্যপ্রয়ােজনীয় সামান্য কিছু দোকান যদিও খােলা ছিল অধিকাংশ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘ দিনের জন্য বন্ধ ছিল যার ফলে মানুষের অর্থনৈতিক সমস্যা পারিবারিক কোলাহল নানান ভেবে দেখা দিলাে। যদিও সরকার, স্থানীয় প্রশাসন ও সমাজের বিত্তবানরা নানান ভাবে অসহায় দরিদ্রে মানুষের পাশের দাঁড়ালাে তথাপি বিদ্যালয়গুলাে বন্ধ এবং করােনাভাইরাসের বিস্তার রােধে সামাজিকীকরণের ওপর নিষেধাজ্ঞা বিচ্ছিন্নতা ও একাকিত্বকে তীব্র করে তুলেছে। অন্যদিকে চাকরি হারিয়ে বা হারানাের ভয়ে অনেকেই মানসিক বিপর্যস্ত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। পাশ্চাত্যের অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, হারানাে প্রতি পাঁচটি কাজের মধ্যে দুটি আর ফিরে আসবে না।

বিশ্বজুড়ে নতুন স্নাতক ডিগ্রি, ডিপ্লোমা এবং পেশাদার ডিগ্রিপ্রাপ্ত যুবকরা মহামারীটি বিশ্ব অর্থনীতিকে মন্দার দিকে ঠেলে দেয়ার কারণে চাকরির বাজারে প্রবেশের জন্য লড়াই করছে। একটি বৈরী চাকরির বাজার শিক্ষাক্ষেত্রে যে বিঘ্ন ঘটেছেতার সঙ্গে মিলিত হয়েছে, যা ১০০ কোটিরও বেশি শিক্ষার্থীকে প্রভাবিত করেছে।

এর ফলে শিক্ষিত তরুণদের সম্ভাবনার দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি করতে পারে। কোভিড-১৯ প্রথম চাকরিপ্রাপ্ত যুবকদের চাকরিতে উন্নতি করার আশা ব্যর্থ করে দিয়েছে। আস্তে আস্তে এসব সমস্যা একটি বড় সামাজিক অশান্তির রূপ নিতে পারে।


আশাকরি কোভিড-১৯ থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থায়, শিক্ষা পদ্ধতিতে এবং ব্যবসার ধরনে পরিবর্তন আনতে হবে। সর্বোপরি জনকল্যাণমুখী রাষ্ট্রব্যবস্থাই হবে আগামীর দুর্যোগ মােকাবেলার কার্যকর পন্থা।

Leave a Comment