বাংলাদেশের ব্যবসায়িক পরিবেশ, এর উন্নয়নে সমস্যা ও সমাধানের উপায় ব্যাখ্যা করুন।

এইচএসসি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ১১শ শ্রেণির ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম পত্র ২য় অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২১

বাংলাদেশে ব্যবসায় পরিবেশ যেসব উপাদান প্রত্যক্ষ ও পরােক্ষভাবে ব্যবসার কার্যাবলীকে প্রভাবিত করে সেগুলাের সমষ্টি ব্যবসায় পরিবেশ।

বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক ও কৃষি প্রধান দেশ। এদেশের প্রধান জীবিকা কৃষি এবং অধিকাংশ ব্যবসায় ও শিল্প কৃষিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। মােগল আমলে সােনারগাঁয়ে তারাবােতে গড়ে উঠে বিশ্বের রাজা রাণীর পছন্দের মসলিন।

বঙ্গোপসাগরের অদূরে চট্টগ্রামে কর্ণফুলি নদীর তীরে গড়ে
উঠে বিশ্বের অন্যতম চট্টগ্রাম বন্দর যা Protogrando. আর দিনাজপুরের হিলি বন্দর Protopiqueno নামে পরিচিত।

শীতলক্ষা নদীর তীরে নারায়নগঞ্জ বন্দর, ভৈরব নদীর তীরে ভৈরব বন্দর গড়ে উঠে ব্যবসায় বাণিজ্যের উন্নতিতে ভূমিকা রেখেছে।

স্বাধীনতার পর পরই সরকার অধিকাংশ ব্যবসায় ও শিল্প প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রায়ত্ব করে সমাজতান্ত্রিক মানসিকতায়। কিন্তু অদক্ষতা, স্বজনপ্রীতি ও দূর্নীতির কারনে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান লােকসান দিতে থাকে এবং অনেকগুলাে দেউলিয়া
হয়ে পড়ে। প্রয়ােজন পড়ে বেসরকারীকরণের। অনেক প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে বেসরকারী পর্যায়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রীয় ও বেসরকারী মিলে সৃষ্টি হয় এক মিশ্র অর্থনীতির। সব মিলিয়ে এখন বিরাজ করছে এক ভিন্ন ব্যবসায় পরিবেশ।

নিমে ব্যবসায় পরিবেশের উপাদানগুলাে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আলােচনা করা হলােঃ

ক। প্রাকৃতিক উপাদানঃ প্রাকৃতিক পরিবেশের অধিকাংশ উপাদানই বাংলাদেশে ব্যবসায় স্থাপনের জন্য অনূকুল। দেশের প্রায় সকল অংশই নদী বিধৌত। ছােট বড় মিলিয়ে এদেশে মােট
২৩০টি নদী রয়েছে। ফলে সহজেই এখানে কৃষিজাত বিভিন্ন শিল্প ও ভােগ্য পণ্যের কাঁচামাল উৎপন্ন করা সম্ভব।

অন্যদিকে নদী পথে ব্যবসায়িক পণ্য পরিবহন ও খরচ কম। তবে অনেক নদী শুকিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে অনেক নদীতে চর পড়ে নদী পথ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। ব্যবসায় বা শিল্প স্থাপনের প্রয়ােজনীয় প্রাকৃতিক গ্যাস এদেশে বিদ্যমান। দেশে বিদ্যমান খনিজ, কয়লা, চুনাপাথর, কঠিন শিলা, খনিজ তৈল শিল্প বিকাশের সহায়ক। এ সকল প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহার করতে পারলে দেশের ব্যবসায় বাণিজ্যসহ অর্থনৈতিক
উন্নতি ত্বরান্বিত হবে। অসংখ্য নদী বিধৌত ও সমুদ্রবেস্টিত হওয়ায় মৎস্য শিল্প বিকাশের উপযুক্ত পরিবেশ এখানে বিদ্যমান।

খ। অর্থনৈতিক উপাদানঃ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উপাদানগুলাের কয়েকটির ভিত্তি বেশ মজবুত হলেও অনেক গুলাের ভিত্তি তেমন সুদৃঢ় নয়। চাহিদার তুলনায় প্রয়ােজনীয় মূলধনের অভাব, গ্রামীন জনগনের ব্যাংকিং সেবা ও ঋণ
প্রাপ্তির ক্ষেত্র শহরের তুলনায় কম।

প্রশাসনিক জটিলতা, দালাল শ্রেণীর লােকদের হয়রানি, দ্রব্যমূলের উধ্বর্গতি ইত্যাদি প্রতিকূল অবস্থা কাটাতে পারলে বাংলাদেশ ব্যবসায় বিকাশের আরও দ্রত অগ্রসর হতে পারবে।

এর জন্য প্রয়ােজন গ্রামে গঞ্জে ব্যাংকিং ঋণ সুবিধা পৌছে দেওয়া এবং সহজ করা।

গ। সামাজিক উপাদানঃ এদেশের মানুষ জাতিগত ও ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিকভাবে উদার, পরিশ্রমী এবং সৃজনশীল। অতীতে জাহাজ নির্মাণ করে, মসলিন কাপড় উৎপাদন করে, এদেশের মানুষ তাদের প্রতিভা ও পরিশ্রমের স্বাক্ষর রেখেছেন।

সােনারগাঁয় এক সময় ব্যবসায়, শিক্ষা দীক্ষা, কৃষি, সাহিত্য, সাংস্কৃতিক শিল্পে, কার শিল্পে ছিল বিশ্ব সেরা। বর্তমানেও জামদানী শাড়ী তৈরি, জাহাজ নির্মাণ, বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষন করতে সক্ষম হয়েছে। তবে বাংলাদেশের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থাকে মুখস্থ নির্ভরতা থেকে বের করে আরও দক্ষ ও সৃজনশীল করতে পারলে ভবিষ্যৎ প্রজম্ম শিল্প বাণিজ্য গবেষণায় আরও বেশী সৃজনশীলতা প্রকাশ করতে পারবে। সাথে সাথে ব্যবসায় বাণিজ্যসহ সকল ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার আরও বৃদ্ধি করতে পারবে।

ঘ। রাজনৈতিক উপাদানঃ যে কোন দেশের উন্নতিতে সুস্থ ও সহায়ক রাজনৈতিক সিদ্ধান্ড অপরিহার্য। কিন্তু স্বাধীনতার দীর্ঘ সময় পরও রাজনৈতিক নীতিমালা, দল, প্রতিষ্ঠান, সরকার
তেমন স্থিতিশীল ও সহনশীল নয়। ফলে প্রায় রাজনৈতিক দলই হরতাল, ধর্মঘট, জ্বালাও পােড়াও অবস্থায় লেগে থাকে।

এ অবস্থায় বিদেশী বিনিয়ােগকারীগণ তাে বটেই দেশী ডাক্তাগণও ততবেশী উৎসাহ পায় না। তাছাড়া হীনরাজনৈতিক স্বার্থের কারনে স্বাধীনতার পর থেকে অদ্যাবধি আইনশংখলা
পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়নি। দলমত নির্বিশেষে সকলের প্রচেষ্টায় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা পেলে দেশে বিনিয়ােগ তথা শিল্পায়ন বৃদ্ধি পেতে বাধ্য।

ঙ। আইনগত উপাদানঃ আইনগত পরিবেশের কিছু উপাদান বাংলাদেশের আধুনিক ও যুগােপযােগী হলেও অনেকগুলাে বেশ পুরাতন। পরিবেশ সংরক্ষণ ও ভােক্তা আইনের কঠোর
প্রয়ােগ, শিল্প ও বিনিয়ােগবান্ধব আইন তৈরি, দূর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি এবং চাঁদাবাজি প্রতিরােধে আইনের কঠোর প্রয়ােগের মাধ্যমে দেশের ব্যবসায় বাণিজ্যের উন্নতি নিশ্চিত করা যায়।

চ। প্রযুক্তির উপাদানঃ বর্তমান তীব্র প্রতিযােগীতার বাজারে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার ভিন্ন কোন ক্ষেত্রেই এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। বাংলাদেশের ব্যবসায়িক পরিবেশে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার এখন সীমিত। অধিকাংশ শিল্প কারখানায়
পুরােনাে প্রযুক্তির যন্ত্রপাতির ব্যবহারের কারনে আমাদের প্রতিযােগিতার সামর্থ্য কম। বিজ্ঞান ও কারিগরী শিক্ষার মান ততটা সমৃদ্ধ নয়। প্রযুক্তি উন্নয়নে যে ধরনের গবেষণার প্রয়ােজন তাও এখানে অপর্যাপ্ত। অর্থনৈতিক দুর্বলতার কারনে উন্নত প্রযুক্তির আমদানিও কাংক্ষিত মানে হচ্ছে না। কিছু কিছু কর্পোরেট বড় প্রতিষ্ঠান উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারে যত্নবান। বহুজাতিক কোম্পানী ও দেশী ও কিছু কর্পোরেট বড় প্রতিষ্ঠান উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করছে।

বাংলাদেশের ব্যবসায় পরিবেশ উন্নয়নের সমস্যা:
পরিবেশের বিভিন্ন উপাদানের এর শক্তি ও দূর্বলতা এবং এর মিথস্ক্রিয়ায় যে কোন দেশেই ব্যবসায় পরিবেশের একটা নিজস্ব ভাব ধারার সৃষ্টি হয়। সেই বিবেচনায় বাংলাদেশের ব্যবসায় পরিবেশ কাংখিত মানের নয়। এর কিছু উপাদান
ইতিবাচক হলেও কিছু উপাদান তেমনভাবে নৈতিবাচক যে এর কুপ্রভাব দূর করা না গেলে ভালাে কিছু অর্জন সম্ভব হবে না। সেক্ষেত্রে চেষ্টা যে একেবারে চলছে না তা নয়। তবে কাংখিত মানে তা এগিয়ে নিতে হলে নিম্নোক্ত সমস্যাসমূহকে বিশেষ বিবেচনায় নিয়েই প্রতিকারের চেষ্টা করা উচিত।

  1. রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা আমাদের ব্যবসায় পরিবেশ উন্নয়নের সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা। রাজনৈতিক দলগুলাের মধ্যকার পারস্পরিক অবিশ্বাস ও অশ্রদ্ধা প্রায়শই রাজপথকে উত্তপ্ত করে। সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য নতুন নতুন প্রয়াস ও প্রচেষ্টার পাশাপাশি দমন ও পীড়ন বেছে নেয়। এতে দেশের ইমেজ নষ্ট হয়। আর ব্যবসায় পরিবেশ প্রতিকুল হয়ে উঠে 
  2. সরকারী ভূমিকা দূর্বল ও ব্যবসায় পরিবেশ উন্নয়নে সরকারের ভূমিকা খুবই গুরত্বপূর্ণ। ব্যবসায় বান্ধব নীতিমালা প্রণয়ন, অর্থনীতিকেন্দ্রিক সরকার পরিচালনা, রপ্তানি বৃদ্ধিতে সহায়তা দান, আইন শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ইত্যাদি কাজে সরকারের ভূমিকাই মূখ্য। উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও শক্তিসম্পদের মত অবকাঠামাে নির্মাণ এবং নতুন নতুন শিল্প এলাকা গঠনে সরকারের উদোগের প্রয়ােজন পড়ে। এক্ষেত্রে আমাদের সরকারের দূর্বলতা প্রকট। তাই এ সকল ক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা না বাড়ালে ব্যবসায় পরিবেশ উন্নত হবে না।
  3. আর্থিক ও অন্যান্য সহযােগী প্রতিষ্ঠানের দূর্বলতা ও ব্যবসায় বাণিজ্যের উন্নয়নে ব্যাংক, বীমাসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, শেয়ার বাজার ইত্যাদির সহযােগী ভূমিকা খুবই গুরত্বপূর্ণ। অথচ আমাদের দেশে এ সকল প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা এতটা শক্তিশালী নয়। সুদ বা লাভের হার বেশী হওয়ায় ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলাে ঋণ নিতে স্বাচ্ছন্দবােধ করে না। তারপর সহজ ঋণ পাওয়াও দুস্কর। শহরাঞ্চলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলাের কার্যক্রম সীমিত থাকায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের অধিকাংশই এর সুবিধার বাইরে।
  4. শিল্প ও সচেতনতার অভাব ও বাংলাদেশে শিক্ষার হার কম। শিক্ষিত জনশক্তির অধিকাংশই স্বল্প শিক্ষিত এবং কার্যত কারিগরী ও ব্যবহারিক শিল্পজ্ঞান বিবর্জিত। ফলে ব্যবসায়ের প্রতিটা ক্ষেত্রেই যােগ্য জনশক্তির মারাত্মক অভাব পরিলক্ষিত হয়। ব্যাপক জনসংখ্যার দেশ হওয়ার পরও আমাদের টেক্সটাইলসহ বিভিন্ন শিল্পে প্রচুর বিদেশী কাজ করে। বায়িং হাউজসহ তথ্য প্রযুক্তির বিভিন্ন ক্ষেত্রে যােগ্য লােকের অভাব বিশেষভাবে লক্ষণীয় যা ব্যবসায় পরিবেশের উন্নয়নের প্রতিবন্ধক। দেশের প্রাকৃতিক পরিবেশের সচেতনতার অভাব বিপন্ন প্রায়।
  5. সুশাসনের অভাব ও সুশাসনের অভাব বাংলাদেশে শুধুমাত্র ব্যবসায় ক্ষেত্রেই নয়। সর্বক্ষেত্রেই বড় ধরনের সমস্যা। বিভিন্ন সরকারী পাওনা ফাঁকি দেয়ার সুযােগ ও প্রবণতা ব্যবসায় ক্ষেত্রে নৈতিকতার চর্চায় বাধাস্বরূপ। সর্বস্তুরে দুর্নীতি প্রতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করায় ভালাে ব্যবসায়ীরা নিরূৎসাহিত হয়। ভেজাল ও নকল পণ্য বাজারে অবাধে চলার কারনে সৎ ব্যবসায়িরা এগুতে পারে না। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজিসহ অন্যায় কর্মকান্ডের বিচার পাওয়া দুস্কর। আইন প্রয়ােগকারী সংস্থার ভূমিকা খুবই দূর্বল। ফলে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও দুস্কৃতিকারীদের দৌরাত্ম অসহনীয়। সব মিলিয়ে সুশাসনের অভাব এ দেশে ব্যবসায় পরিবেশ উন্নয়নের বড় প্রতিবন্ধক।

বাংলাদেশের ব্যবসায়ের পরিবেশ উন্নয়নের সমস্যা সমাধানের উপায়ঃ

বাংলাদেশের ব্যবসায় পরিবেশে এমন কিছু মৌলিক সমস্যা বিরাজমান যা দূর করা না গেলে বিদ্যমান সুবিধাসমূহকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না। উন্নত বিশ্বের দিকে তাকালে দেখা যাবে কেউই সকল সুবিধা নিয়ে ব্যবসায়ের অগ্রযাত্রা শুরু করেনি। তাদের আপ্রাণ চেষ্টা ও
অঙ্গীকার দিয়ে তারা ধীরে ধীরে প্রতিকুল পরিবেশের প্রভাব কাটিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে গেছে। সিঙ্গাপুরের সম্পদ বলতে ছিল শুধু চারিদিকে সমুদ্র।

এটি ছিল মৎস্যজীবিদের দ্বীপ। এখানকার নেতৃত্ব তাদের মেধা, যােগ্যতা ও দৃঢ় রাজনৈতিক অংগীকারের মধ্য দিয়ে মাত্র চলিশ বছরের ব্যবধানে বিশ্বের সর্বোচ্চ ধনী দেশগুলাের কাতারে পৌছাতে পেরেছে। চীন এখন অর্থনৈতিক পরাশক্তি এবং ভারতও দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।

  • রাজনৈতিক অঙ্গীকার প্রতিষ্ঠাঃ আমাদের দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা দূর এবং ব্যবসায় বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে রাজনৈতিক দলগুলাের দৃঢ় অঙ্গীকার থাকা উচিৎ। রাজনৈতিক, হানাহানি, বিশৃংখলা, হরতাল, ধর্মঘট ইত্যাদি বন্ধ করা গেলে ব্যবসায়ের উন্নতি হবে না। এই বিষয়টি রাজনীতিবিদদের বুঝাতে হবে । ক্ষমতায় যাওয়া শুধুমাত্র লক্ষ্য না হয়ে দেশের অগ্রগতি, অর্থনৈতিক মুক্তি, ব্যবসায় বিনিয়ােগ ও উন্নয়ন, এসকল বিষয়ে যদি তারা আরিক হয় তবেই দেশের ব্যবসায় বাণিজ্যের উন্নতি ঘটতে পারে।
  • অর্থনৈতিক বাধা অপসারণঃ বাংলাদেশের ব্যবসায় পরিবেশ উন্নয়নে অর্থনৈতিক বাধা দূর করা অত্যড় গুরত্বপূর্ণ। ছােট বড় সব ধরনের ব্যবসায়িরাই মূলধনের অভাবে জর্জরিত।
  • ব্যাংকগুলাের উচ্চ হারের সুদ এবং ঋণ পেতে নানান নিয়ম কানুন সৎ ব্যবসায়িদের নিরসাহিত করে। এছাড়া ব্যাংকগুলাের ঋণদান সামর্থ্যও সীমিত। যেখানে ব্যাংকগুলাে থেকে ব্যবসায়ীরা ঋণ পাওয়ার কথা, সেখানে আমাদের সরকারই সেই ঋণের বড় গ্রাহক। তাই এ অবস্থা দূর হওয়া উচিত। শেয়ার বাজারকে চাঙ্গা, গতিশীল ও দূর্নীতি মুক্ত করা গেলে মুলধন সংস্থানে তা ভূমিকা রাখতে পারে।
  • আইন শৃংখলা পরিস্থিতি উন্নয়ন ও আইন শৃংখলা পরিস্থিতি আমাদের দেশে যে অবস্থায় রয়েছে তার পরিবর্তন জররী। ঘুষ, দূর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি যে সমাজে মারাত্মক রূপ নেয় সেখানে ব্যবসায় টিকে থাকতে পারে না। তাই ব্যবসায়কে এগিয়ে নেয়ার স্বার্থে সরকারকে এ বিষয়ে কঠোর সিদ্ধাড় নিতে হবে। সরকারকে এ বিষয়ে ব্যাপক জনমত গড়ে তুলতে হবে। দল নিরপেক্ষভাবে আইনের প্রয়ােগ ঘটাতে হবে। যে যেই পর্যায়ে থাকুকনা কেন আইন লংঘন করলে রেহাই পাওয়া যাবেনা সকল পর্যায়ে তার সুস্পষ্ট বার্তা দিতে হবে।
  • প্রযুক্তিগত উন্নয়নের প্রতি গুরুত্বারােপ ও প্রতিযােগিতাপূর্ন ব্যবসায় জগতে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ছাড়া এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। বাংলাদেশকে এ বিষয়টি বুঝে এগুতে হবে। এজন্য বিদেশ থেকে যেমনি প্রয়ােজনীয় নতুন
  • প্রযুক্তি আমদানি করতে হবে তেমনি দেশেও উপযুক্ত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে সরকার ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলােকে জোর দিতে হবে। এজন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক লেখাপড়ার উপর জোর দেয়ার কোন বিকল্প নেই।
  • মানবসম্পদ উন্নয়ন ও বাংলাদেশ জনবহুল দেশ। এদেশের প্রচুর মানুষ বিদেশে কাজ করে। যাদের অধিকাংশ অদক্ষ। ফলে তারা কাজে কম বেতন পায়। দেশের মধ্যে অধিকাংশ মানুষ কার্যক্ষেত্রে দক্ষ ও যােগ্য নয়। এ সকল মানুষকে যদি সম্পদ হিসাবে গড়ে তােলা যায় তবে একদিকে যেমনি বিদেশে জনশক্তি রপ্তানি বাড়বে, অন্যদিকে এ খাতে আয়ের পরিমানও উলে-খযােগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া যােগ্য উদ্যোক্তা, ব্যবস্থাপক, কর্মী ও শ্রমিকদের পদচারনায় ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানও উন্নতি লাভ করতে সমর্থ হবে।

ব্যবসায় উদ্যোগ ১ম সপ্তাহের ১ম এসাইনমেন্ট উত্তর পেতে নিচের বাটনে ক্লিক করুন

Click here


Leave a Comment